দুইটি চেক ডিজঅনারের মামলায় আপিল ও রিভিশন শুনানি শেষে আসামিকে খালাস এবং বাদীকে ৩০ লাখ টাকা জরিমানার আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের নেতৃত্বাধীন একক হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।
আদালতে বাদী জাহাঙ্গীর আলম ইউনুছের পক্ষে আইনজীবী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ব্যারিস্টার এ কে এম ফকরুল ইসলাম। অন্যদিকে এ কে এম গোলাম ফারুকের পক্ষে আইনজীবী হিসেবে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মো. লুৎফর রহমান। তার সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট শামীমা সুলতানা ও শারমীন আক্তার।
মামলার বিবরণী থেকে জানা গেছে, সিএন্ডএফ এজেন্ট ব্যবসায়ী এ কে এম গোলাম ফারুকের কর্মচারী মো. জাহাঙ্গীর আলম ইউনুছ দুইটি চেক চুরি করে ২০১১ সালে চাকরি থেকে অব্যাহতি নেয়। পরে প্রাক্তন মালিক কে এম গোলাম ফারুকের বিরুদ্ধে ২০১১ সালের ১৬ নভেম্বর ১ লাখ ৮ হাজার টাকার চেক ডিজঅনারের অভিযোগে প্রথম মামলাটি করেন। ওই মামলা চলমান সত্ত্বেও ২০১৩ সালে ২০ লাখ টাকা চেক ডিজঅনারের অভিযোগে আরেকটি মামলা করেন। ওই মামলা চট্টগ্রামের মহানগর দায়রা জজ আদালতের যথাক্রমে যুগ্ম দায়রা জজ ২য় এবং ৭ম আদালতে বিচার হয়। ২০১১ সালে দায়ের করা প্রথম মামলাটিতে আসামি এ কে এম গোলাম ফারুকের সাজা হয় এবং ২০১৩ সালে দায়ের করা দ্বিতীয় মামলাটিতে আসামি খালাস পান। পরে খালাস আদেশের বিরুদ্ধে ২০১৮ সালে মামলার বাদী জাহাঙ্গীর আলম ইউনুছ হাইকোর্টে ফৌজদারি আপিল দায়ের করেন। অন্যদিকে সাজার আদেশের বিরুদ্ধে আসামি এ কে এম গোলাম ফারুক প্রথমে চট্টগ্রামে আপিল এবং পরে হাইকোর্টে ফৌজদারি রিভিশন দায়ের করেন। মামলা দুটির একত্রে শুনানি শেষে হাইকোর্ট উভয় মামলায় আসামি এ কে এম গোলাম ফারুককে খালাস প্রদান করেন এবং মিথ্যা মামলা দায়ের করে প্রাক্তন মালিক আসামি এ কে এম গোলাম ফারুককে হয়রানি করার জন্য বাদী মো. আলম ইউনুসকে ৩০ লাখ টাকা জরিমানার আদেশ দিলেন।