গোলটেবিল বৈঠকে বিশিষ্টজনরা

‘নোবেল পেলেই ব্যক্তি আইনের ঊর্ধ্বে উঠে যান না’

সব পরিকল্পনা ভেস্তে যাওয়ায় বিদেশিরা এখন ড. ইউনূসকে নিয়ে ষড়যন্ত্রে নেমেছে বলে মনে করেন বিশিষ্টজনরা। তারা বলেন, ড. ইউনূসের বিচারপক্রিয়া নিয়ে বিদেশিরা হিলারি ক্লিন্টনের নেতৃত্বে যে বিবৃতি দিয়েছে, তা অনাকাঙ্ক্ষিত।

শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) এডিটরস গিল্ড আয়োজিত ‘দেশের রাজনীতি বিদেশের তৎপরতা’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে তারা এসব মন্তব্য করেন। এডিটরস গিল্ডের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য রেজোয়ানুল হক বৈঠকের সঞ্চালনা করেন।

আলোচকরা বলেন, নোবেল পুরস্কার পেলেই কোনও ব্যক্তি আইনের ঊর্ধ্বে যেতে পারেন না। দেশের আইন অনুযায়ী ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে কর ফাঁকি দেওয়াসহ অন্যান্য অভিযোগেরও বিচার হওয়া উচিত। এটি নিয়ে বিদেশিদের বিবৃতি একেবারেই অনাকাঙ্ক্ষিত।

তারা বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতিসহ অন্যান্য তৎপরতা দেশের রাজনীতিতে তেমন কোনও প্রভাব রাখতে না পারায় তারা এখন নতুন করে ড. ইউনূসকে নিয়ে ষড়যন্ত্রে নেমেছে।

বিশিষ্টজনরা বলেন, জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় আসার পর খুব সফলভাবে এ দেশটাকে দুভাগ করে ফেলেছিলেন। সেটাই এখন তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে। যতই দেশে জাতীয় নির্বাচন ঘনিয়ে আসছে, ততই এটা তীব্রতর হবে। তা ছাড়া আমাদের ধারণা তৈরি হয়েছে, বিদেশিরা আমাদের নির্বাচনে বড় প্রভাব ফেলে। আর এই ধারণাকে কাজে লাগিয়ে তারা আমাদের অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার সুযোগ পাচ্ছে।

গোলটেবিল বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ইতিহাসবিদ ও গবেষক অধ্যাপক ড. মুনতাসীর মামুন, দৈনিক আমাদের নতুন সময়ের ইমেরিটাস সম্পাদক নাঈমুল ইসলাম খান, ইউজিসির সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক আব্দুল মান্নান, রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও সিনিয়র সাংবাদিক আজয় দাশগুপ্ত, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও নিরাপত্তা বিশ্লেষক আব্দুর রশীদ, বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. আইনুল ইসলাম, দুর্নীতি দমন কমিশনের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. খুরশীদ আলম খান এবং বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক ও সাবেক রাষ্ট্রদূত ড. হাসান মাহমুদ খন্দকার।