আঞ্চলিক জলবায়ু সম্মেলনে অংশ নিলো শক্তি ফাউন্ডেশন

দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো নিয়ে বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হয়েছে আঞ্চলিক জলবায়ু সম্মেলন। এতে “প্রকৃতির সঙ্গে সম্প্রীতি: ভারসাম্যপূর্ণ উন্নয়ন ও ইকোসিস্টেম ব্যবস্থাপনা” সেশন পরিচালনা করেছে সম্মেলনের অন্যতম প্রধান সংগঠক শক্তি ফাউন্ডেশন।

রাজধানীর হোটেল শেরাটনে তিন দিনব্যাপী সম্মেলনের শেষ দিন রবিবার (১০ সেপ্টেম্বর) এই সেশন অনুষ্ঠিত হয়।

সেশনে বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের পরিবেশগত চাহিদাগুলোর মধ্যে একটি ন্যায়সঙ্গত ভারসাম্য অর্জনই ছিল এই অধিবেশনের মূল আলোচ্য বিষয়। এছাড়া জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন এবং প্রকৃতির সঙ্গে ভারসাম্য পুনরুদ্ধারের জন্য ঢাকা শহরের নির্মল ও বিশুদ্ধ বাতাসের ওপরও বিশেষভাবে নজর দেওয়া হয়েছে এই সেশনে।

এতে কি-নোট উপস্থাপন করেন যুক্তরাষ্ট্রে ডিপার্টমেন্ট অব স্টেটের গবেষক ও বিজ্ঞান দূত অধ্যাপক জেমস জে. শাওয়ার। তার বক্তব্যে ঢাকা শহরের পরিবেশ ও জলবায়ু টেকসই কর্মসূচির মধ্যে বায়ুর গুণমানকে অগ্রাধিকার দেওয়ার বিষয়টি উঠে আসে।

অধিবেশনে প্রধান অতিথি এবং প্যানেলের একজন বিশিষ্ট বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। অন্যান্য প্যানেল বক্তাদের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের ইকোনমিক অফিসার অ্যামি ক্যাস, প্রকৃতি সংরক্ষণ ব্যবস্থাপনা’র নির্বাহী পরিচালক এস.এম. মুনজুরুল হান্নান খান, সুইডেন দূতাবাসের ফার্স্ট সেক্রেটারি ড. ড্যানিয়েল নোভাক, আইসিডিডিআর,বি’র এনভায়রনমেন্টাল হেলথ অ্যান্ড ওয়াশ হেলথ সিস্টেম অ্যান্ড পপুলেশন স্টাডিজ বিভাগের প্রকল্প সমন্বয়কারী ডা. মো. মাহবুবুর রহমান, বিশ্ব ব্যাংকের সিনিয়র আরবান ট্রান্সপোর্ট স্পেশালিস্ট ক্যাটালিনা ওচোয়া  এবং বাংলাদেশ পরিবেশ আইনজীবী সমিতির প্রধান নির্বাহী অ্যাডভোকেট সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। শক্তি ফাউন্ডেশনের উপ-নির্বাহী পরিচালক ইমরান আহমেদ অধিবেশনটি পরিচালনা করেন।

মেয়র তার বক্তব্যে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন কর্তৃক বায়ুদূষণ কমানোর লক্ষ্যে যে সব কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে তা তুলে ধরেন। এসময় তিনি ভূমি থেকে মিথেন গ্যাস নির্গমন রোধে বেসরকারি-সরকারি অংশীদারত্বের তাৎপর্য তুলে ধরেন। তিনি বলেন ‘বাংলাদেশের ইতিহাসে এই প্রথমবারের মতো আমরা ৪২.৫ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন  বর্জ্য থেকে এনার্জি ইনসিনারেশন প্ল্যান্ট স্থাপন করতে যাচ্ছি। যার মাধ্যমে প্রতিদিন ৩ হাজার টন বর্জ্য থেকে ৪২.৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপন্ন হবে। এরই মধ্যে প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে।’

এ প্রসঙ্গে শক্তি ফাউন্ডেশনের উপ-নির্বাহী পরিচালক ইমরান আহমেদ বলেন, ‘বাংলাদেশ যেমন উন্নত হয়েছে, আমাদের চ্যালেঞ্জও পরিবর্তন হচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তন এই চ্যালেঞ্জগুলোর মধ্যে অন্যতম। চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার এখনই সময়।’

তিন দিনব্যাপী সম্মেলন যৌথভাবে আয়োজন করেছে দ্যা ক্লাইমেট পার্লামেন্ট বাংলাদেশ, দ্যা আর্থ সোসাইটি এবং অবজারভার রিসার্চ ফাউন্ডেশন (ওআরএফ)।  সম্মেলনে ভারত, ভুটান, নেপাল, শ্রীলঙ্কা এবং মালদ্বীপের সংসদ সদস্য, বিদেশি রাষ্ট্রদূত এবং প্রতিনিধি, বিশিষ্ট নীতিনির্ধারকরা,  ব্যবসায়ী এবং সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।