ফ্ল্যাট থেকে স্বামী-স্ত্রী-সন্তানের গলাকাটা লাশ উদ্ধার

সাভারের আশুলিয়ায় একটি ভবনের ফ্ল্যাট থেকে স্বামী-স্ত্রী ও তাদের সন্তানের (১২) গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাতে জামগড়া ফকিরবাড়ি মোড় এলাকার মেহেদী হাসানের মালিকানাধীন ভবনের ৪ তলার একটি ফ্ল্যাট থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

অন্তত তিন দিন আগে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা পুলিশের। তবে হত্যাকাণ্ডের কারণ সম্পর্কে এখনও নিশ্চিত হতে পারেনি পুলিশ।

নিহতরা হলেন— ঠাকুরগাঁও জেলার পীরগঞ্জ থানার লোহাগড়া গ্রামের মৃত জহির উদ্দিনের ছেলে মুক্তার হোসেন (৫০), তার স্ত্রী শাহিদা বেগম (৪০) ও তাদের ১২ বছর বয়সী ছেলে মেহেদী হাসান জয়। শাহিদার গ্রামের বাড়ি রাজশাহী জেলায়। স্বামী-স্ত্রী দুজনেই আশুলিয়ায় একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন।

প্রতিবেশী সূত্রে জানা যায়, শনিবার সন্ধ্যায় ফ্ল্যাট থেকে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়লে আশপাশের বাসিন্দাদের সন্দেহ হলে তারা দরজা ধাক্কা দিয়ে দেখতে পান ফ্ল্যাটের দরজা খোলা। ঘরের বিছানার ওপর মা ও ছেলের রক্তমাখা মরদেহ দেখতে পান তারা। পরে বাড়ির মালিক পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ ওই ফ্ল্যাটের ভেতরের রুমে আরেকটি মরদেহ খুঁজে পায়। ধারণা করা হচ্ছে— এটি স্বামীর মরদেহ।

বাড়ির ৬ তলার একটি ফ্ল্যাটের বাসিন্দা দিলদার হোসেন বলেন, ‘আমি গার্মেন্টসে চাকরি করি। আজকে সন্ধ্যার পর বাসায় এসে দেখি বাসার সামনে প্রচণ্ড ভিড়। পরে শুনতে পাই ৪ তলায় একটি ফ্ল্যাটে নাকি ৩ জনকে খুন করে রেখে গেছে কেউ। পরে পুলিশ এলো। যে ফ্ল্যাটের ঘটনা তাদের কাউকে আমি চিনি না।’

নিহত মোক্তার হোসেনের দুলাভাই রহিম মোবাইল ফোনে বলেন, ‘আমি ঠাকুরগাঁওয়ে থাকি। অনেকেই ফোন করে খবর নিচ্ছে। কিন্তু আমি তো কিছুই জানি না। মোক্তার সম্পর্কে আমার শ্যালক হয়। আনুমানিক ৫ থেকে ৭ বছর ধরে তারা ঢাকায় থাকে। আমি খোঁজ-খবর নিয়ে দেখছি।’

আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জোহাব আলী বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে এসে বিছানার ওপর মা ও ছেলে দুজনের মরদেহ দেখতে পেয়েছি। পরে পাশের ঘর থেকে আরেকজনের মরদেহ পেয়েছি। মনে হয় এটি স্বামীর মরদেহ।

ওই এসআই আরও বলেন, ঘরে প্রচণ্ড দুর্গন্ধ। ৩ দিন আগে তাদের হত্যা করা হয়েছে বলে আমাদের ধারণা। বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করা হচ্ছে। নিহতদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হচ্ছে।