হেরিটেজ ভলান্টিয়ারদের পাহাড়পুর প্রত্নতাত্ত্বিক জাদুঘর পরিদর্শন

বেসরকারি সংস্থা ‘নগর উপাখ্যান‘ ও ‘পার্সিভ’ আয়োজনে ইউনেস্কো ‘ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ ভলান্টিয়ার্স প্রোগ্রাম-২০২৩’ এর ১০ দিনব্যাপী কর্মশালার অংশ হিসেবে পাহাড়পুর প্রত্নতাত্ত্বিক জাদুঘর পরিদর্শন করেছেন হেরিটেজ ভলান্টিয়াররা। শুক্রবার (৬ অক্টোবর) কর্মশালার ষষ্ঠ দিনে জাদুঘর পরিদর্শন করেন তারা।

‘ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ ভলেন্টিয়ার প্রোগ্রাম-২০২৩’ সারা বিশ্বে ইউনেস্কো তালিকাভুক্ত এলাকাগুলো এক যোগে পরিচালিত হচ্ছে। বাংলাদেশের তালিকাভুক্ত এলাকা পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহারকে নিয়ে ১ থেকে ১০ অক্টোবর, ১০ দিনব্যাপী চলছে বাংলাদেশ অংশের কর্মশালা। কর্মশালাটি আগামী ১০ অক্টোবর পর্যন্ত কুমিল্লা ও নওগার পাহাড়পুর ঘুরে ঢাকার চারুকলা টেরাকোটা কর্মশালা ও বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের ল্যাবরেটরি ব্যবস্থাপনা পরিদর্শনের মাধ্যমে শেষ হবে।

শুক্রবার জাদুঘর মিলনায়তনে ‘নগর উপাখ্যান-পারসিভ’ এর প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক স্থপতি ফাতিহা পলিন বিশ্ব ঐতিহ্যের গুরুত্ব ও এই কর্মশালার প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি বিষয়ে অংশগ্রহণকারীদের দিকনির্দেশনা দেন।

আয়োজকরা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানান, শুক্রবার পাহাড়পুর জাদুঘরের কাস্টডিয়ান ফজলুল করিম জাদুঘর ও পাহাড়পুর এলাকাটির ব্যবস্থাপনা নিয়ে তার বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে কাজের সুবিধা-অসুবিধা নিয়ে আলোচনা করেন। বিকালে আইসিওএমওএস বাংলাদেশের সভাপতি শরিফ সামস ইমন ‘অলটারনেটিভ অ্যাপ্রোচেস টু ডব্লিউএইচ’ বিষয়ে জুম লিংক এর লেকচার প্রদান করেন। এর পরে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. সোহরাব উদ্দিন সৌরভ ‘ইন্টারন্যাশনাল অব আর্লি মেডিয়াভাল ট্যারাকোটা প্লাকস অব বাংলাদেশ’ বিষয়ে লেকচার প্রদান করেন।

এর আগে এই ভলান্টিয়াররা গত ৪ অক্টোবর কুমিল্লার শালবন বিহার ও জাদুঘর পরিদর্শন করেন। এটি ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যের অপেক্ষমাণ তালিকায় রয়েছে। স্বেচ্ছাসেবী দল এই সাইটটি পযর্বেক্ষণ শেষে তাদের সুপারিশমালা প্রতিবেদনে যুক্ত করবেন বলে আয়োজকদের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। এবারের আয়োজনের মিডিয়া পার্টনার হিসেবে আছে বাংলা ট্রিবিউন।