টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা বিষয়ক প্রতিবেদন প্রকাশিত

২০১৬ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত সময়ে ৪ লাখ ৪৯ হাজার ৯৯০টি পরিবারের ২০ লাখ ২০ হাজার মানুষকে ব্র্যাক তাদের ‘গ্রাজুয়েশন এপ্রোচ’ দিয়ে অতি-দারিদ্র্য থেকে মুক্ত করেছে। এটা এই সময়ে অতি-দারিদ্র্য নিরসনে জাতীয় অর্জনের ১৮ দশমিক ৪ শতাংশ।

বাংলাদেশ সরকারের কৌশলগত লক্ষ্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) বাস্তবায়নে ব্র্যাকের কর্মসূচি নিয়ে বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) রাজধানীর ব্র্যাক সেন্টারে একটি প্রতিবেদনের মোড়ক উন্মোচন করা হয়। ‘ব্র্যাক এসডিজি কন্ট্রিবিউশন ভলান্টারি রিভিউ ২০২৩’ শীর্ষক এই রিপোর্টে এসডিজির লক্ষ্য অর্জনে ব্র্যাকের মতো বেরসকারি সংস্থা এবং সরকারের অগ্রযাত্রার সমন্বয়কে তুলে আনা হয়েছে।

প্রতিষ্ঠানটির পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এসডিজির ১৭টি লক্ষ্যের মধ্যে ১৫টিতে কাজ করছে ব্র্যাক।

টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা বা এসডিজি বাস্তবায়নে ব্র্যাকের কাজ নিয়ে এটি দ্বিতীয় রিপোর্ট। প্রথম প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয় ২০২১ সালে।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ব্র্যাক ১৬টি উন্নয়ন কর্মসূচি এবং ৫টি সোশ্যাল এন্টারপ্রাইজের মাধ্যমে দেশজুড়ে দারিদ্র্য বিমোচন, খাদ্য নিরাপত্তা, স্বাস্থ্যসেবার সুযোগ, মানসম্পন্ন শিক্ষা, লিঙ্গ সমতা এবং সমন্বিত অন্তর্ভুক্তির মতো গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রগুলোতে কাজ করছে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পনামন্ত্রী এম. এ. মান্নান বলেন, ব্র্যাক ২০ লাখ মানুষকে দারিদ্রমুক্ত করেছে, যা সত্যিই প্রশংসাযোগ্য। কিন্তু এরপরও আমাদের আরও অনেক দূর যেতে হবে। পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে টেকসই প্রবৃদ্ধি নিশ্চিতে সরাসরি ইতিবাচক পদক্ষেপ গ্রহণের সুযোগ রয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক মো. আখতার হোসেন বলেন, অগ্রগতি বোঝার জন্য আমরা অনলাইনে একটি এসডিজি ট্রেকার স্থাপন করেছি। সকল বেসরকারি সংস্থার প্রতি আহ্বান, তারা যেন এসডিজিতে তাদের অবদানের বিবরণ প্রকাশ করে।

এসডিজি-১৬-তে মূলত ন্যায়বিচার নিয়ে কথা বলা হয়েছে উল্লেখ করে ব্র্যাকের চেয়ারপার্সন ড. হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, এটার চূড়ান্ত লক্ষ্য হচ্ছে, একটি ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা। বাংলাদেশকে অনেকগুলো উদ্বেগ ও বাস্তবতা মোকাবিলা করতে হচ্ছে। তাই আমাদেরকে অবশ্যই অগ্রাধিকার ঠিক করতে হবে।