বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী বলেছেন, এভিয়েশন শিল্পে বাংলাদেশ একটি সম্ভাবনার নাম। গত ১০ বছরে বাংলাদেশের এভিয়েশন শিল্পের প্রবৃদ্ধি হয়েছে দ্বিগুণ এবং আগামী ১৫ বছরের মধ্যে এই প্রবৃদ্ধি হবে তিন গুণ।
রবিবার (১৫ অক্টোবর) রাজধানীর হোটেল প্যান-প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে এশীয়-প্যাসিফিক অঞ্চলের দেশগুলোর অংশগ্রহণে ‘৫৮তম ডিরেক্টর জেনারেল অব সিভিল এভিয়েশন (ডিজিসিএ)’ শীর্ষক সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী বলেন, ‘এ বছর বাংলাদেশের সঙ্গে আন্তর্জাতিক বেসামরিক বিমান চলাচল সংস্থার সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি হচ্ছে। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ১৯৭৩ সালে আমরা এ সংস্থার সদস্য পদ অর্জন করি। এরপর বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশকে একটি এভিয়েশন হাবে রূপান্তরের যে স্বপ্ন দেখেছিলেন, তা বর্তমানে তার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাস্তবায়ন হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণসহ যুগান্তকারী বিভিন্ন উন্নয়ন কাজ ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। আরও বেশ কিছু উন্নয়ন কাজ চলমান রয়েছে। আমাদের লক্ষ্য— বাংলাদেশের সম্ভাবনা ও ভৌগোলিক গুরুত্বকে কাজে লাগিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশকে বিশ্বের একটি অন্যতম এভিয়েশন হাবে পরিণত করা।’
এবারের ডিজিসিএ কনফারেন্সের থিম ‘ভবিষ্যৎ প্রজন্মের এভিয়েশন পেশাজীবীদের জন্য জেন্ডার ইকুয়ালিটি নিশ্চিতকরণ’ এর প্রতি বর্তমান সরকারের সর্বাত্মক সমর্থন রয়েছে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘‘বাংলাদেশ বর্তমানে সারা বিশ্বে জেন্ডার ইকুয়ালিটি এবং নারীর ক্ষমতায়নে রোল মডেলে পরিণত হয়েছে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের এভিয়েশন পেশাজীবীদের মধ্যে জেন্ডার ইকুয়ালিটি নিশ্চিত করার জন্য ইতোমধ্যেই আমরা ‘বঙ্গবন্ধু নেক্সট জেনারেশন এভিয়েশন প্রফেশনালস’ স্কলারশিপ চালু করেছি।’’
৫৮তম ডিজিসি সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমানের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন— আকাও কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট সালভাতোর সাকিতানো, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোকাম্মেল হোসেন, আইকাও কাউন্সিল মহাসচিব হুয়ান কার্লোস সালজার।