পিরোজপুরের দুটি সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণ আপিলেও বৈধ

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিমের নির্বাচনি আসন পিরোজপুর-১ ও সাবেক মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর নির্বাচনি আসন পিরোজপুর-২ আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণের বৈধতা ঘোষণা করা হাইকোর্টের রায় বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ।

সোমবার (১৬ অক্টোবর) প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এই আদেশ দেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এম কে রহমান ও সাঈদ আহমেদ রাজা।

এর আগে গত ৩ জুন প্রকাশিত নির্বাচন কমিশনের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, পিরোজপুর-১ আসনের সঙ্গে পিরোজপুর-২ আসনে থাকা ইন্দুরকানী উপজেলাকে যুক্ত করা হয়েছে। আর পিরোজপুর-১ আসন থেকে কেটে নেছারাবাদ উপজেলাকে যুক্ত করা হয়েছে পিরোজপুর-২ আসনের সঙ্গে। ফলে এখন পিরোজপুর-১ আসনের সীমানায় থাকছে পিরোজপুর সদর, নাজিরপুর ও ইন্দুরকানী উপজেলা।

এদিকে পিরোজপুর-২ আসনে থাকছে কাউখালী, ভান্ডারিয়া ও নেছারাবাদ উপজেলা। ইন্দুরকানী উপজেলাকে বাদ দিয়ে এখানে নেছারাবাদকে যুক্ত করায় নাখোশ এ আসনের সংসদ সদস্য ও জাতীয় পার্টির (জেপি) চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জু। অন্যদিকে পিরোজপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য হলেন মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রী শ. ম. রেজাউল করিম।

তাই পিরোজপুর-১ ও পিরোজপুর-২ আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন পিরোজপুরের কাউখালীর বাসিন্দা আবু সাঈদ মিয়া, ভান্ডারিয়া পৌরসভার বাসিন্দা মো. কায়কোবাদ, মো. আহসানুল কিবরিয়া, ইন্দুরকানী উপজেলার বাসিন্দা আক্তারুজ্জামান ও নেছারাবাদ উপজেলার বাসিন্দা নাজমুল ইসলাম শরীফ।

পরে গত ৩০ জুলাই মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিমের নির্বাচনি আসন পিরোজপুর-১ ও সাবেক মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর পিরোজপুর-২ আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণের প্রজ্ঞাপন কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।

বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি মুহাম্মদ মাহবুব উল ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ সংশ্লিষ্টদের দুই সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়।

গত ৩ আগস্ট মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিমের নির্বাচনি আসন পিরোজপুর-১ ও সাবেক মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর নির্বাচনি আসন পিরোজপুর-২ আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণের বৈধতা নিয়ে জারি করা রুল খারিজ করে দেন হাইকোর্ট। এর ফলে ওই দুইটি আসনের সীমানা নির্ধারণ বৈধতা পেলো বলে জানান আইনজীবীরা।

তবে সে রায়ের বিরুদ্ধে পরে আপিল বিভাগে আবেদন জানানো হয়।