ঘোষিত মজুরি পুনর্বিবেচনার দাবি

পোশাকশ্রমিকের ন্যূনতম মজুরি সাড়ে ১২ হাজার টাকা ঘোষণা প্রত্যাখ্যান করেছে ‘গার্মেন্ট শ্রমিক আন্দোলন’। তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় অনুষ্ঠিত সংগঠনটির বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে অবিলম্বে ঘোষিত মজুরি পুনর্বিবেচনা করে গার্মেন্ট শ্রমিকের ন্যূনতম মজুরি ২৫ হাজার টাকা ঘোষণার দাবি জানানো হয়।

মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) ঢাকার তোপখানা সড়কে অবস্থিত মজুরি বোর্ড কার্যালয়ের সামনে আন্দোলনরত শ্রমিক সংগঠনগুলোর জোট ‘মজুরি বৃদ্ধিতে গার্মেন্ট শ্রমিক আন্দোলন’ এই দাবি জানায়।

সমাবেশ থেকে বক্তারা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, মালিকপক্ষ ইচ্ছাকৃত বিলম্ব করে মজুরি বৃদ্ধির বিষয়টি এ সময়ে টেনে এনেছে, যার সম্পূর্ণ দায়-দায়িত্ব মালিকদের নিতে হবে। আইন মেনে ৬ মাসের মধ্যে শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধির বিষয়টি ফয়সালা না করে নভেম্বর মাস পর্যন্ত বিলম্ব করা হয়েছে। এখন এসে সাড়ে ১২ হাজার টাকা প্রস্তাব দেওয়ার মধ্য দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে দ্রব্যমূল্যের কষাঘাতে জর্জরিত শ্রমিকদের ক্ষোভকে উসকে দেওয়া হচ্ছে।

তারা বলেন, দেশের বিভিন্ন শিল্পাঞ্চলে মজুরি বৃদ্ধির যৌক্তিক দাবিতে আন্দোলনরত গার্মেন্ট শ্রমিকদের ওপরে গুলিবর্ষণ, হামলা, নির্যাতন ও শ্রমিক হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের অবিলম্বে বিচারের আওতায় আনা এবং গার্মেন্টস শ্রমিকদের নিম্নতম মজুরি ২৫ হাজার টাকা ঘোষণা করার মধ্য দিয়ে এই শিল্প খাতে সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।

পাঁচ বছর পর মজুরি বোর্ড গঠন হয়েছে, কিন্তু বোর্ডের প্রস্তাব শ্রমিকদের কাছে গ্রহণযোগ্য হয়নি বলে জানান তারা।

সমাবেশ থেকে আগামী ১০ নভেম্বর  সকাল ১১টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে শ্রমিক সমাবেশ আহ্বান করা হয়েছে। ওই সমাবেশ থেকে দাবি আদায়ের লক্ষ্যে বৃহত্তর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে জানানো হয়।

মজুরি বৃদ্ধিতে গার্মেন্ট শ্রমিক আন্দোলনের আহ্বায়ক তাসলিমা আখতারের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব সাদেকুর রহমান শামীমের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন— গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সভাপতি মন্টু ঘোষ, সহ-সভাপতি জলি তালুকদার, গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতির সাধারণ সম্পাদক বাবুল হোসেন, গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি মাসুদ রেজাসহ জোটের অন্য নেতারা।