সড়কে প্রাণ হারানো আরিফ-অর্জুনের স্বজনদের ৭ দফা দাবি

সড়কে ট্রাক চাপায় প্রাণ হারানো ছাত্রনেতা আরিফুল ইসলাম আরিফ ও সৌভিক করিম অর্জুনের মৃত্যুর এক মাস স্মরণে সড়কে প্রাণের অপচয় প্রতিরোধ ও বিচারের দাবিতে ‘আমরা দাঁড়াবো একসাথে’ শিরোনামে কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় নিউ ইস্কাটন রোডে এই কর্মসূচি পালিত হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন আরিফ-অর্জুনের বন্ধু, সুহৃদ ও স্বজনরা।

সমাবেশ থেকে বক্তারা গুরুত্বপূর্ণ ৭টি দাবি তুলে ধরেন। এগুলো হলো- আধুনিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র গড়ে তুলে চালকদের উপযুক্ত প্রশিক্ষণ প্রদান করতে হবে, চালকদের কর্ম ঘণ্টা নির্দিষ্ট করতে হবে এবং মাসিক বেতনের ভিত্তিতে কাজে নিয়োগ করতে হবে, ফিটনেস ও ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদানের ক্ষেত্রে সমস্ত ধরনের দুর্নীতি নিরোধে ব্যবস্থা নিতে হবে এবং সংশ্লিষ্ট সকলের জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে, দুর্ঘটনাপ্রবণ ব্ল্যাক স্পট চিহ্নিত করতে হবে এবং প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে, সড়কে যানবাহনের জন্য লেন প্রথা, মহাসড়কে ডিভাইডার বাধ্যতামূলক ও নিয়মিত সড়ক সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণ করতে হবে।

তারা আরও দাবি করেন, পরিবার প্রতি গাড়ি সংখ্যা সীমিত করতে হবে, একাধিক গাড়ির ক্ষেত্রে নিবন্ধন ফি দ্বিগুণ, চর্তুগুণ এভাবে বাড়াতে হবে; পরিবেশবান্ধব ও সাশ্রয়ী পরিবহন হিসেবে নৌপথ ও রেলপথের ওপর গুরুত্ব দিয়ে উন্নয়ন পরিকল্পনা করতে হবে, জলাভূমি দখলমুক্ত করতে হবে, নদীর নাব্যতা পুনরুদ্ধারের উদ্যোগ নিতে হবে। রেলপথে রুট সংখ্যা ও গাড়ি সংখ্যা জনসংখ্যা অনুপাতে বাড়াতে হবে।

প্রতিবাদে দাঁড়িয়ে বক্তব্য রাখেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, কেন্দ্রীয় রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য মনির উদ্দীন পাপ্পু, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য বাচ্চু ভূইয়া, ছাত্র ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি মশিউর রহমান রিচার্ড এবং আরিফ ও সৌভিক করিমের বন্ধু-স্বজনেরা।