সেমিনারে বক্তারা

‘দেশে মেগাপ্রকল্প বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে পাইলিংয়ের গুরুত্বও বাড়ছে’

দেশে মেগাপ্রকল্প বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে পাইলিংয়ের গুরুত্ব বাড়ছে। পাইলিংয়ের ক্ষেত্রে সতর্ক অবলম্বন করাও জরুরি। বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশ হয়েছে, আগামীতে উন্নত দেশ হবে। ফলে দেশের অবকাঠামো নির্মাণে পাইলিংয়ের গুরুত্ব বাড়তে থাকবে। আর দেশের অবকাঠামো উন্নয়নে প্রকৌশলীরা পাইলিংয়ের কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন। 

রবিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে 'কাস্ট-ইন-সিটু বোরড পাইলের গুণমান নিয়ন্ত্রণের জন্য লোড এবং ইন্টেগ্রিটি টেস্ট এর যথার্থ ব্যবহার' শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন। দেশের পেশাজীবীদের সংগঠন ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন,বাংলাদেশ (আইইবি) পুরকৌশল বিভাগের উদ্যোগে এই সেমিনার আয়োজিত হয়।

সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সদস্য ও আইইবির প্রেসিডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার  মো. আবদুস সবুর বলেন, ‘নির্মাণকাজে পাইলিং যে কত গুরুত্বপূর্ণ, আমাদের দেশ যত উন্নত হচ্ছে ততই বিশেষ করে জিও টেকনিক্যাল প্রকৌশলীরা, পাইলিংয়ের জায়গাগুলো আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। যখনই আমরা মেগা প্রকল্পগুলো করছি, এখানে পাইলিং গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে। আমরা বিশ্বের দ্বিতীয় খরস্রোতা পদ্মায় পাইলিং করেছি, ফলে এটার গুরুত্ব ক্রমশই বাড়ছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়ক বর্তমানে চার লেন, এটা ৮ লেন, ১২ লেন হবে। এখানে অনেক লোড তৈরি হবে। অনেকগুলো ফ্লাইওভার হবে, ইন্টারসেকশন হবে। অনেক জায়গায় মাটি দুর্বল রয়েছে, সেগুলো চিহ্নিত করার বিষয় রয়েছে।’

স্বাগত বক্তব্যে আইইবির সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার এস. এম. মনজুরুল হক মঞ্জু বলেন, ‘ভবনের ফাউন্ডেশনের ক্ষেত্রে আমরা মনোযোগ দেই না। তবে এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’

আইইবির পুরকৌশল বিভাগের সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার  সৈয়দ শিহাবুর রহমান সঞ্চালনায় সেমিনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন আইইবির ভাইস প্রেসিডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মনজুর মোর্শেদ, ইঞ্জিনিয়ার মো. নুরুজ্জামান। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের প্রধান প্রকৌশলী ইঞ্জিনিয়ার সৈয়দ মঈনুল হাসান এবং সভাপতিত্বে করেন পুরকৌশল বিভাগের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার সৌমিত্র কুমার মুৎসুদ্দি। 

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রিন্সিপাল ট্রান্সপোর্ট ফর এনএসডব্লিও'র ইঞ্জিনিয়ার জিওটেকনিক্যাল ড. প্রকৌশলী এএইচএম কামরুজ্জামান।