পদোন্নতিতে অনিয়মের অভিযোগ

রাজউক চেয়ারম্যানের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছে মানবাধিকার কমিশন

রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) প্রধান প্রকৌশলী পদে পদোন্নতিতে অনিয়মের অভিযোগে ব্যাখ্যা তলব করেছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। রাজউকের চেয়ারম্যানকে এ জন্য ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে অনুলিপি দেওয়া হয়েছে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিবকে।

শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় রাষ্ট্রীয় সংস্থাটি।

জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রাজউকের প্রধান প্রকৌশলী (বাস্তবায়ন) পদে অনিয়ম করে জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাকে বঞ্চিত করে কনিষ্ঠ কর্মকর্তাকে চলতি দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এমন অভিযোগ পেয়ে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন তাদের নিজস্ব বেঞ্চে অভিযোগটি পর্যালোচনা করে। এতে দেখা যায়, যাকে চলতি দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে জ্যেষ্ঠতা বিবেচনায় তার অবস্থান সংক্ষুব্ধ ব্যক্তির পরে। এমনকি চলতি দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনে কিছু অভিযোগের  অনুসন্ধান চলছে। তারপরও তিনি প্রধান প্রকৌশলীর (বাস্তবায়ন) চলতি দায়িত্বের পদে বহাল তবিয়তে নিয়োজিত রয়েছেন। যা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ২০২৩ সালের ১৮ এপ্রিল প্রকাশিত প্রজ্ঞাপনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। ওই প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী কোনও কর্মকর্তাকে ৬ মাসের বেশি চলতি দায়িত্ব প্রদানের প্রয়োজন হলে সংশ্লিষ্ট পদোন্নতি কমিটি বা বোর্ডের অনুমোদন নিতে হবে। অথচ এই অনুমোদন না নিয়েই চলতি দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তিন বছরের বেশি উক্ত পদে নিয়োজিত রয়েছেন।

কমিশনের বেঞ্চ-১ মনে করে, যদি দেশের গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রতিষ্ঠান রাজউকের উচ্চতর এ পদে পদায়নের ক্ষেত্রে এ ধরনের অনিয়ম হয়, তবে তা দাফতরিক ব্যর্থতা, ব্যবস্থাপনার বিশৃঙ্খলা এবং ইতোমধ্যেই উত্থাপিত দুর্নীতির ক্ষেত্রে প্রশ্রয় দানে যোগসাজসের ইঙ্গিত বহন করে। এছাড়াও, যদি বিধি মোতাবেক কেউ প্রাপ্যতা থেকে বঞ্চিত হয় তবে তার মানবিক মর্যাদা ক্ষুণ্ণ হয় এবং তার মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়। বিষয়টি স্পষ্টীকরণের জন্য রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) চেয়ারম্যানকে ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আদেশের অনুলিপি গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর পাঠানো হয়েছে।