বর্তমান সময়ে ক্রমাগতভাবে নারীর মানবাধিকার লঙ্ঘন, নারীকে হেনস্তা এবং নারীর প্রতি সহিংসতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। সমাজের একটি উগ্র নারী বিদ্বেষী গোষ্ঠী নারীর স্বাধীন মত প্রকাশে বাধা দিয়ে মব সহিংসতা করার অপচেষ্টায় ব্যস্ত। নারীর মতপ্রকাশের স্বাধীনতা বাধাগ্রস্ত করে এক অবরুদ্ধকরণ পরিস্থিতির তৈরি করা হচ্ছে। যা নারীর অগ্রগতিসহ টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সহায়ক নয়।
বৃহস্পতিবার (২৯ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের ‘নারীর প্রতি সহিংসতা, বৈষম্য ও নারীর মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে বাধাগ্রস্ত করা এবং সাম্প্রদায়িক সহিংসতার প্রতিবাদে’ আয়োজিত মানববন্ধনে এসব কথা বলেন বক্তারা।
মানববন্ধনে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম বলেন, রাষ্ট্রের নীতি হওয়া উচিত, দুষ্টের দমন করে শিষ্টের প্রতিপালন করা। কিন্তু রাষ্ট্রে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিরও অবনতি চরমে। নারীর মতপ্রকাশের স্বাধীনতা আজ বাধাগ্রস্ত করে এক অবরুদ্ধকরণ পরিস্থিতির তৈরি করা হচ্ছে যা নারীর অগ্রগতিসহ টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সহায়ক নয়।
এসময় বিভিন্ন স্থানে সংঘটিত সাম্প্রদায়িক হামলার উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশের সংখ্যালঘুদের নাগরিক হিসেবে সমান অধিকার ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। দেশের সুরক্ষা নিশ্চিতে সব নাগরিকদের ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বানও জানান তিনি।
সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু বলেন, সব পরিবর্তন যে কল্যাণকর নয়, তা আজ নারী সমাজ বুঝতে পারছে। নারীকে জনপরিসরে ক্রমাগত হেনস্তা করা হচ্ছে। নারীর মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে বাধাগ্রস্ত করা, মব সহিংসতা, বিভিন্ন হয়রানিমূলক ঘটনা এবং নারীকে অবরুদ্ধ করতে একটি গোষ্ঠীর তৎপরতা বৃদ্ধি পেয়েছে। এগুলো নারীর ক্ষমতায়নের প্রশ্নে রাষ্ট্রীয় ভূমিকার পশ্চাৎপদতাকে তুলে ধরছে। রাষ্ট্রের এই পশ্চাৎপদতার বিরুদ্ধে সবাইকে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান তিনি।
ডা. ফওজিয়া মোসলেমের সভাপতিত্বে এসময় মানববন্ধনে সংহতি প্রকাশ করে আরও বক্তব্য দেন ব্লাস্টের (বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট) প্রতিনিধি ফারজানা আখতার রুমি এবং এডাবের (এসোসিয়েশন অব ডেভেলপমেন্ট এজেন্সিস ইন বাংলাদেশ) প্রতিনিধি সমাপিকা হালদার প্রমুখ।