ভবিষ্যতে আদালত অবমাননাকর বক্তব্য দেবো না: হাইকোর্টকে ভিপি নুর

বিচারকদের নিয়ে আপত্তিকর বক্তব্যের কারণে আদালত অবমাননার অভিযোগ ওঠায় গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর অঙ্গীকার করেছেন, ভবিষ্যতে আদালত অবমাননা হয়, এমন কোনও বক্তব্য তিনি দেবেন না।

বুধবার (৬ মার্চ) বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক-আল-জলিলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে নুর লিখিতভাবে এ অঙ্গীকারনামা পেশ করেন। পরে আদালত পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ৩০ এপ্রিল দিন ধার্য করেন।

আদালতে নুরের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী ও ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাঈনুল হাসান।

আদালতে নুরুল হক নুর বলেন, ভবিষ্যতে পাবলিক স্পেসে বক্তব্য দেওয়ার সময় আমি সতর্ক থাকবো। আদালত অবমাননা হয় এমন কোনও বক্তব্য দেবো না।

এর আগে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি বিচারকদের নিয়ে আপত্তিকর বক্তব্যের কারণে আদালত অবমাননার ঘটনায় নুরুল হক নুর হাইকোর্টে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেন। সেদিন হাইকোর্ট বলেছিলেন, নুরুল হক নুর লিখিত ব্যাখ্যায় ভবিষ্যতে আদালত অবমাননামূলক বক্তব্য না দেওয়ার বিষয়ে কোনও অঙ্গীকার করেননি। আদালত বলেন, ব্যাখ্যা সন্তোষজনক না হলে জুডিসিয়ারির মর্যাদা রক্ষায় যে আদেশ দেওয়া দরকার, উচ্চ আদালত সেই আদেশ দেবেন।

২০২৩ সালের ১৭ ডিসেম্বর বিচারকদের নিয়ে আপত্তিকর বক্তব্যের কারণে নুরুল হক নুরকে তলব করেন হাইকোর্ট। তাকে আদালতে হাজির হয়ে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়। একইসঙ্গে তার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল জারি করেন আদালত।

প্রসঙ্গত, গত ৭ ডিসেম্বর একটি জাতীয় দৈনিকে নুরুল হক নুরের বক্তব্য নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিজয়নগর পানির ট্যাংক মোড়ে এক সমাবেশে আদালতের বিচারকদের বিরুদ্ধে নুরুল হক নুর আপত্তিকর বক্তব্য দিয়েছেন। সেই প্রতিবেদনটি আদালতের নজরে আনা হয়। পরে আদালত নুরকে ব্যাখ্যা দিতে তলব করেন।