‘নারী অল্পতে তুষ্ট’ এই দৃষ্টিভঙ্গি না বদলালে অধিকার প্রতিষ্ঠা হবে না

জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক ডা. হেলাল উদ্দিন বলেছেন, নারী অল্পতে তুষ্ট থাকার দৃষ্টিভঙ্গি যতদিন না বদলাবে ততদিন আমরা তার অধিকারের জায়গাটা প্রতিষ্ঠা করতে পারবো না। নারী পুরুষ আলাদা না করে মানুষ হিসেবে যে অধিকার রয়েছে সেটি প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

শনিবার (৯ মার্চ) বাংলা ট্রিবিউনের নিয়মিত আয়োজন বৈঠকিতে ‘নারীর মন তার অধিকার’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। ইউনিমেড-ইউনিহেলথ ফার্মার সহযোগিতায় বৈঠকিটি এটিএন বাংলায় প্রচারিত হয়।

ডা. হেলাল উদ্দিন বলেন, কবির ভাষায় বলা হয়, নারীর মন বোঝা দায়, তাদের মন জটিল। বিজ্ঞান কিন্তু তা বলে না। প্রত্যেকের মন আলাদা। বিজ্ঞানের ভাষায় নারী পুরুষ উভয়ের মন সমান।

সামাজিকভাবে নারীদের দুর্বলভাবে দেখা হয় মন্তব্য করে তিনি বলেন, প্রসঙ্গ এসেছে নারীর বেশি যত্নের দরকার। আসলে নারীদের বেশি যত্নের দরকার এই বিষয়টার প্রয়োজন ছিল না। প্রকৃতি নারীকে দুর্বল করে তৈরি করেনি। অনেক ক্ষেত্রে পুরুষ নারীর ওপর নির্ভরশীল। অনেক কাজই পুরুষ বলে আমি করতে পারবো না। এটা নারী করতে পারবে। তার মানে নারীর নিজস্বতা রয়েছে। তাদের শক্তিমত্তা রয়েছে। কিন্তু সামাজিক কারণে তাদের প্রান্তিক করে রাখা হয়েছে।

ডা. হেলাল উদ্দিন বলেন, ক্ষমতায়নের মাধ্যমেই কেবল নারীর অধিকার নিশ্চিত হবে না। একজন নারী হয়তো অফিসে উচ্চপর্যায়ে আছেন কিন্তু বাসায় কি তিনি তার মতামতের গুরুত্ব পাচ্ছেন? ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি যে নারী অফিসে উচ্চপর্যায়ে আছেন তার সঙ্গে যখন ডোমেস্টিক ভায়োলেন্স ঘটে তখন এই নারীর ক্ষমতায় একটা ইলুশন। 

এটিএন নিউজের বার্তাপ্রধান প্রভাষ আমিনের সঞ্চালনায় বৈঠকিতে অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন বন্ধ্যাত্ব ও গাইনি বিশেষজ্ঞ এবং ল্যাপ্রোসকপি সার্জন ডা. হাসনা হোসেন আখী।