জবি ছাত্রীর আত্মহত্যার ঘটনায় শিক্ষার্থীদের আলটিমেটাম

শিক্ষক-সহপাঠীকে দায়ী করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী ফাইরুজ অবন্তীকা আত্মহত্যার ঘটনায় ক্যাম্পাসে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এ ঘটনায় দোষী ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনাসহ ছয় দফা দাবি জানিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। তা না হলে বড় আন্দোলনের ঘোষণা দেন তারা।

শনিবার (১৬ মার্চ) বিকাল সাড়ে ৩টার পর সাধারণ শিক্ষার্থীর ব্যানারে এ বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়। মিছিলটি ক্যাম্পাসের ভাস্কর্য চত্বর থেকে শুরু হয়ে পুরো ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে, ক্যাম্পাসের প্রধান ফটকে এসে জড়ো হয়।

এ সময় শিক্ষার্থীরা অভিযুক্তদের বিচারের দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে অবস্থান করে বিক্ষোভ করছিলেন। এদিকে নিরাপত্তার স্বার্থে ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থী অর্থনীতি বিভাগের রেদোয়ান হক বলেন, আজকের বিক্ষোভ থেকে আমরা ছয় দফা দাবি জানাচ্ছি। আমাদের দাবিগুলো হলো, এ হত্যার সুষ্ঠু বিচার করতে হবে, অভিযুক্ত আম্মান ও দীন ইসলামকে দ্রুত গ্রেফতার করতে হবে, জরুরি ভিত্তিতে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে স্থায়ী বহিষ্কার করতে হবে, ভুক্তরভোগীর পরিবারের নিরাপত্তা জোরদার করতে হবে, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিপীড়নবিরোধী সেলকে স্বাধীন করতে হবে এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে বাদী হয়ে মামলা করতে হবে।

মানা না হলে বড় আন্দোলনের ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা ছবি: নাসিরুল ইসলাম

রেদোয়ান আরও বলেন, আমাদের এসব দাবিদাওয়া ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মানা না হলে আমরা বড় আন্দোলনের ডাক দেবো, পাশাপাশি ভিসি ভবন ঘেরাও করবো।

এর আগে গতকাল ফাইরুজের মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর মধ্যরাত থেকেই ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ শুরু করেন সহপাঠীরা। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম সাত দিনের মধ্যে তদন্ত সম্পন্ন করার আশ্বাস দেন শিক্ষার্থীদের। পরে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাস ত্যাগ করেন।

এদিকে অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনায় প্ররোচনার অভিযোগে শিক্ষক দ্বীন ইসলামকে সহকারী প্রক্টর থেকে অব্যাহতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সব দায়িত্ব থেকে বহিষ্কার এবং শিক্ষার্থী আম্মান সিদ্দিকীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।

ঘটনার অধিকতর তদন্তে শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. জাকির হোসেনকে আহ্বায়ক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন কর্মকর্তাকে সদস্য সচিব করে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি করা হয়েছে।