‘নারীদের প্রশিক্ষণ দিলে নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে ভূমিকা রাখতে পারবে’

নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে নারীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে নীতিমালায় পরিবর্তন আনা প্রয়োজন বলে মনে করেন মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের (এমজেএফ) নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম। তিনি বলেন, ‘নারীদের শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও কর্মসংস্থানের সুযোগ দিলে তারা জ্বালানির রূপান্তর প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবে। এতে একদিকে যেমন জেন্ডার সমতা নিশ্চিত হবে, তেমনই টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সহজ হবে।’

বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) রাজধানীর এমজেএফ টাওয়ারের আলোক অডিটোরিয়ামে এমজেএফ আয়োজিত ‘নারীর ক্ষমতায়নে নবায়নযোগ্য জ্বালানির গুরুত্ব’ শীর্ষক উন্মুক্ত আলোচনা অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন। পরে ‘বাংলাদেশের নবায়নযোগ্য জ্বালানির উৎস ও প্রযুক্তিতে জেন্ডার প্রভাব মূল্যায়ন’ শীর্ষক গবেষণা প্রকাশনীর মোড়ক উন্মোচন করা হয়।

শাহীন আনাম বলেন, ‘যেসব জ্বালানি পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর, সেসব পরিহার করে আমাদের নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বাড়াতে হবে। শুধু পরিবেশের জন্যই নয়, জীবাশ্ম জ্বালানি নারীর স্বাস্থ্যের জন্যও ক্ষতিকর।’

তিনি বলেন, ‘সরকার এরই মধ্যে নবায়নযোগ্য জ্বালানির উৎপাদন বাড়াতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। তবে আমাদের নবায়নযোগ্য জ্বালানি নীতিমালায় অনেক গ্যাপ রয়েছে। এই নীতিমালা জেন্ডার লেন্স দিয়ে রিভিউ করে পরিবর্তন আনতে হবে। নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে নারীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে নীতিমালায় পরিবর্তন আনা প্রয়োজন।’

অনুষ্ঠানে ‘ইনভেস্ট ইন উইমেন অ্যান্ড গার্লস: এক্সিলারেট প্রগ্রেস ধ্রু রিনিউয়েবল এনার্জি’ শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এমজেএফর পরিচালক (প্রকল্প) বনশ্রী মিত্র নিয়োগী। তিনি বলেন, ‘নবায়নযোগ্য জ্বালানির ন্যায্যতা নিশ্চিতের জন্য নারীর ওপর বিনিয়োগ জরুরি। নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে নারীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার জন্য নীতিমালা পর্যায়ে যেমন কাজ করতে হবে, তেমনই তৃণমূল পর্যায়ের নারীদের দক্ষতাও বাড়াতে হবে।’

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন– তারা ক্লাইমেট ফাউন্ডেশনের সুহা তাবিল, অ্যাকশন এইড বাংলাদেশের আবুল কালাম আজাদ, এথিক্যাল ট্রেইনিং ইনিশিয়েটিভের মুনীর উদ্দিন শামীম, জিএসসিসির ফারাহ আনজুমসহ বিভিন্ন বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা, গবেষণা সংস্থার প্রতিনিধি।