মেট্রোরেলের ওপর থেকে তার সরানোর উদ্যোগ অপারেটরদের

ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) এমআরটি লাইন-৬-এর ওপর দিয়ে টানা ইন্টারনেট ও ডিশের তার সরানোর উদ্যোগ নিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এসব তার অপসারণের জন্য অনুরোধ জানিয়ে ঢাকা ম্যাস র‌্যাপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টের (লাইন-৬) পরিচালক মো. আফতাবউদ্দিন তালুকদার স্বাক্ষরিত একটি চিঠি ক্যাবল অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি এ বি এম সাইফুল হোসেন ও ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি মো. ইমদাদুল হক বরাবর পাঠানো হয়।

যদিও দুটি সংগঠনের দাবি, চিঠি তাদের কাছে এখনও পৌঁছায়নি। তবে গণমাধ্যমে তার অপসারণের খরব পেয়ে এই উদ্যোগ নিচ্ছেন তারা।

শনিবার (৩০ মার্চ) কেবল অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি এ বি এম সাইফুল হোসেন বলেন, আমাদের যারা সদস্য আছেন, তাদের বলা হয়েছে, যদি কারও তার থাকে এবং এর জন্য তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হলে এর দায়ভার অ্যাসোসিয়েশন নিতে পারবে না।

তার সরানোর বিষয়ে কোনও দ্বিমত নেই জানিয়ে ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি মো. ইমদাদুল হক বলেন, যেহেতু মেট্রোরেল থেকে জানানো হয়েছে আমাদের সদস্যদের বলেছি। তারা সরিয়ে নেবে। তবে ২৪ ঘণ্টায় সম্ভব হবে না, সময় আরেকটু বেশি লাগবে। বিকল্প ব্যবস্থায় ওভারহেড কেবল দিয়ে সরিয়ে নিতে হবে। সেই প্রক্রিয়া চলছে।

মেট্রোরেলের লাইন ৬-এর প্রকল্প থেকে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, প্রাথমিক সমীক্ষায় দেখা গেছে, ডিএমটিসিএলের এমআরটি লাইন-৬-এর রুট অ্যালাইনমেন্টের ভায়াডাক্ট ও ওভারহেড ক্যাটেনারি সিস্টেমের ওপর দিয়ে ৫১টি ভবনে ইন্টারনেট ও ডিশের তার টানা হয়েছে। এসব তার যেকোনও মুহূর্তে ছিঁড়ে মেট্রোরেলের ভায়াডাক্ট ও ওভারহেড ক্যাটেনারি সিস্টেমের ওপর পড়ে মারাত্মক দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। আসন্ন বর্ষা মৌসুমে এ ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা আরও বেশি।

এমআরটি লাইন-৬-এর ডিপো এলাকা, স্টেশন, রুট অ্যালাইনমেন্ট এবং সংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা কেপিআইভুক্ত।