বিআরটিএর অভিযানে বাড়তি ভাড়া ফেরত পেলেন যাত্রীরা

ঈদ এলেই বাস কোম্পানির একটি অংশ বাড়তি ভাড়া আদায়ে তৎপর হয়ে ওঠে। এই বাড়তি ভাড়া না দিলে মেলে না বাসের আসন। এতে ভোগান্তিতে পড়তে হয় বাড়ি ফেরা মানুষের। আর এই ভোগান্তি দূর করে সাধারণ মানুষের ঈদযাত্রায় স্বস্তি আনতে বিভিন্ন বাস টার্মিনালে ভিজিলেন্স টিম বসিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। অভিযোগ পাওয়ামাত্রই ব্যবস্থা নিচ্ছেন তারা।

মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) সায়দাবাদ এলাকায় যাত্রীর চাপ বাড়ায় সকাল থেকে বাড়তি ভাড়া নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া যায়। এসব অভিযোগের ভিত্তিতে কয়েকটি কাউন্টারে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটসহ অভিযান চালায় বিআরটিএ। এ সময় তিনটি মামলায় ১৭ হাজার টাকা জরিমানা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আনিসুজ্জামান। এ ছাড়া ১টি বাসকে ডাম্পিংয়ে দেওয়া হয়।

এ সময় তিনটি মামলায় ১৭ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়

সায়দাবাদে থাকা বিআরটিএর ঢাকা মেট্রো-২ জোনের উপপরিচালক (প্রকোশলী) মো. সানাউল হক বাংলা ট্রিবিউনকে এসব তথ্য জানান।

তিনি বলেন, সরকার-নির্ধারিত ভাড়ার অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগে সায়দাবাদে তিনটি মামলা হয়েছে। এতে ১৭ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। হামদান এক্সপ্রেস, বিএম পরিবহন এবং অনিক পরিবহনের বাসকে এই জরিমানা করা হয় এবং আদায় করা অতিরিক্ত ভাড়া যাত্রীদের ফেরত দিতে বাধ্য করা হয়। এ ছাড়া গাউছিয়া পরিবহনের একটি বাসকে ডাম্পিং দেওয়া হয়েছে।

ভাড়া বেশি নিয়েও সময়মতো ছাড়ছে না কোনও বাস

তবে বিআরটিএ সচেষ্ট থাকার পরেও বন্ধ হয়নি বাড়তি ভাড়া নেয়া। সুযোগ করে ঠিকই পকেট কাটা হচ্ছে যাত্রীদের। টিকিটপ্রতি ১৫০ থেকে ৫০০ টাকা বাড়তি দিতে হচ্ছে যাত্রীদের। কোথাও দ্বিগুণ ভাড়াও আদায় করা হচ্ছে। ভাড়া বেশি নিয়েও সময়মতো ছাড়ছে না কোনও বাস। কোনও কোনও কাউন্টারে টিকিট না থাকলেও সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে বাসের টিকিট বিক্রি করছেন কেউ কেউ।

এ বিষয়ে বাস কাউন্টারগুলো থেকে জানানো হয়, ভাড়া খুব বেশি নেওয়া হয় না। সারা বছর এমনিতেই ডিসকাউন্ট দিয়ে টিকিট বিক্রি করি। ঈদ এলে সেই ডিসকাউন্ট দিই না। আর অন্যান্য সময় গড়ে দুদিক থেকে ভালো যাত্রী আসা-যাওয়া করে। কিন্তু ঈদের সময় ঢাকা থেকে যাত্রী যাওয়ার সময় ভরা থাকলেও আসার সময় ফাঁকা। ফাঁকা আনতে হয়, কারণ যাত্রী নিয়ে আসার চিন্তা করলে ঢাকায় বাসের সংকট পড়বে।