মুক্তিযোদ্ধা চাচাকে হত্যা, ভাতিজার যাবজ্জীবন

ঢাকার কেরানীগঞ্জের পশ্চিম রোহিতপুর এলাকায় বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর আলীকে হত্যার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ভাতিজা ঠান্ডুকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) বিকালে ঢাকার অষ্টম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মিনহাজুল মনিরার আদালত একমাত্র আসামির উপস্থিতিতে এই রায় ঘোষণা করেন। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পাশাপাশি ঠান্ডুকে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও এক মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

মামলার রায়ে মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর আলীর মেয়ে জেলিনা আক্তার মৌকে গুরুতর আঘাত করার অভিযোগে আসামিকে আরও ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও এক মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছেন।

বাদীপক্ষের আইনজীবী কামরুজ্জামান জসি এ তথ্য জানান।

রায় ঘোষণার আগে আসামি ঠান্ডুকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। রায় শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাকে আবারও কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, ঠান্ডুর বাবা মারা যাওয়ার পর সে তার সম্পত্তি চাচা মোজাফফর আলীর কাছে বিক্রি করে অন্যত্র চলে যায়। মাঝে-মধ্যে সে চাচার কাছে এসে খরচের টাকা দাবি করতো। ২০২১ সালের ১৫ জুলাই চাচার কাছে ৫০০ টাকা চায়। মোজাফফর আলী তাকে ২০০ টাকা দিয়ে বলেন, আর নাই। পরে তিনি বাড়ির সামনে টিউবওয়েলে গোসল করতে যান। ঠান্ডু অতর্কিত সেখানে গিয়ে চাচার পেটে চাকু ঢুকিয়ে দেয়। এ সময় তার বড় মেয়ে জেলিনা আক্তার বাবাকে বাঁচাকে গেলে তাকেও আহত করে ঠান্ডু। দুজনকে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক মোজাফফর আলীকে মৃত ঘোষণা করেন। ওই ঘটনার পরদিন মোজাফফর আলীর স্ত্রী নার্গিস বেগম মামলাটি দায়ের করেন।

২০২২ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি মামলার তদন্ত শেষে ঠান্ডুকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন কেরানীগঞ্জ মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাহাবুবুর রহমান হামিদ। মামলাটির বিচার চলাকালীন সময়ে আদালত ১৬ জন সাক্ষীর মধ্যে ১১ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন।