রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের স্কুল শাখার প্রথম শ্রেণির ১৬৯ শিক্ষার্থীর ভর্তি বাতিলের সিদ্ধান্ত বহাল রেখে হাইকোর্টের দেওয়া রায় স্থগিত করেননি চেম্বার জজ আদালত। এর ফলে হাইকোর্টের রায় বহাল রইলো বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে করা আবেদনের শুনানি নিয়ে রবিবার (২৬ মে) আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বাধীন চেম্বার জজ আদালতে এ আদেশ দেন।
এর আগে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রথম শ্রেণির ১৬৯ জন ছাত্রীর ভর্তি বাতিল চেয়ে গত ১৪ জানুয়ারি ভর্তি ইচ্ছুক দুই শিক্ষার্থীর অভিভাবক একটি রিট দায়ের করেন। তাদের অভিযোগ, নির্দিষ্ট বয়সের বাইরে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়েছে স্কুলটিতে।
এরপর ২৩ জানুয়ারি হাইকোর্ট রুল জারিসহ ভর্তি বাতিলের আদেশ দেন আদালত। এরপর মাউশির নির্দেশনায় ১৬৯ শিক্ষার্থীর ভর্তি বাতিল করে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ কর্তৃপক্ষ।
পরে ভর্তি বাতিলের বৈধতা নিয়ে ১৩৬ জন অভিভাবক আরেকটি রিট করেন। এ নিয়ে গত ২৫ মার্চ হাইকোর্ট রুল জারি করেন। আলাদা রুলে একসঙ্গে শুনানি শেষে রায়ের জন্য এদিন ধার্য করেন হাইকোর্ট।
আদালতে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষের পক্ষে আইনজীবী মোহাম্মদ রাফিউল ইসলাম শুনানি করেন। রিট আবেদনকারী দুই অভিভাবকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী শামীম সরদার। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাঈনুল হাসান।
রিট আবেদনকারী ১৩৬ জন অভিভাবকের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মুস্তাফিজুর রহমান খান আর তার সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী খুররম শাহ মুরাদ।
এ নিয়ে আইনজীবী মোহাম্মদ রাফিউল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, প্রথম শ্রেণিতে শিক্ষার্থী ভর্তি বিষয়ে এবং ১৬৯ ভর্তি বাতিলের বৈধতা নিয়ে অভিভাবকদের করা পৃথক রিটের ওপর একসঙ্গে শুনানি হয়।
সেসব রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানি শেষে হাইকোর্ট গত ২১ মে রায় ঘোষণা করেন।
রায়ে রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রথম শ্রেণির ১৬৯ ছাত্রীর ভর্তি বাতিল করে ভর্তিতে ওঠা দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে তদন্তের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করে দেন আদালত। পাশাপাশি প্রথম শ্রেণির ১৬৯ ছাত্রীর ভর্তি বাতিলই থাকবে বলে আদেশে বলা হয়। এছাড়াও শূন্য সিটগুলোতে অপেক্ষমাণ তালিকায় থাকা শিক্ষার্থীদের ১৫ দিনের মধ্যে ভর্তির নির্দেশ দেওয়া হয়। বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।