দীঘিনালার সংঘাতে দ্রুত বিচার চেয়ে রাজধানীতে বিক্ষোভ

খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় সুষ্ঠু বিচারের দাবি করে রাজধানীতে বিক্ষোভ করছেন শিক্ষার্থী ও ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সদস্যরা। শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য এলাকায় বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন তারা। পরে দুপুর ১২টার দিকে তারা শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন। সেখানে প্রায় আধা ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন।

সংবিধানে আদিবাসী হিসেবে স্বীকৃতি, পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি কমিশন কার্যকর, পর্যটনের নামে ভূমি দখলের প্রতিবাদ জানান বিক্ষোভকারীরা। পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদকে আরও শক্তিশালী করার দাবিও ওঠে সেখানে। দীঘিনালায় বাঙালি-পাহাড়ি সংঘর্ষের ঘটনার সুষ্ঠু বিচার ও সামরিকায়ন বন্ধের দাবি জানান ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর বাসিন্দারা।

শাহবাগে শিক্ষার্থী ও ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সদস্যদের বিক্ষোভ (ছবি: সাজ্জাদ হোসেন)

প্রতিবাদ কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী শংকলার্মা চাকমা সাংবাদিকদের বলেন, দেশকে অস্থিতিশীল করতে একটি চক্র পাহাড়িদের ওপর হামলা করছে। গতকাল একটি দুষ্কৃতকারী মহল দীঘিনালায় বাজার ও বাড়িঘরে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে। আজও তারা আমাদের ওপর হামলা করছে। আমরা দ্রুত এর সমাধান চাই। দ্রুত অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি জানাই।

শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খালিদ মনসুর বলেন, বেলা ১২টার দিকে শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর কিছু শিক্ষার্থী। তারা খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়ে দ্রুত বিচারের দাবি জানান। শাহবাগে তারা ১৫ মিনিট অবস্থান করে পরে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় চলে যান।

শাহবাগে প্রায় আধা ঘণ্টা বিক্ষোভ করেন ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সদস্যরা (ছবি: সাজ্জাদ হোসেন)

এর আগে কর্মসূচিতে অংশ নিতে সকাল থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সদস্যরা টিএসসিতে এসে জড়ো হতে শুরু করেন। পরে তারা বিভিন্ন দাবি সংবলিত প্ল্যাকার্ড হাতে রাজু ভাস্কর্যের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি কমিশন কার্যকর, পর্যটনের নামে ভূমি দখলের প্রতিবাদ, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদকে আরও শক্তিশালী করার দাবি তোলেন তারা। এরপর তারা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে শাহবাগ মোড়ে যান।

রাজু ভাস্কর্যের সামনে থেকে মিছিল নিয়ে শাহবাগে যান বিক্ষোভকারীরা

প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি হয়। এ সময় লারমা স্কয়ারে অগ্নিসংযোগ করা হলে অন্তত ৬০টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।