বিদেশের শ্রমবাজারে সিন্ডিকেট বন্ধ করার আহ্বান

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ও রিফিউজি অ্যান্ড মাইগ্রেটরি মুভমেন্টস ইউনিটের (রামরু) নির্বাহী পরিচালক সি আর আবরার বলেছেন, শোনা যাচ্ছে, রাজনৈতিক দলগুলোর কোনও একটি গোষ্ঠী আবারও মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারে সিন্ডিকেট  তৈরি করতে পারে। তাই রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আমার আহ্বান থাকবে— আর যেন সিন্ডিকেট না হয়। বিদেশি শ্রমবাজার দেশের সবচেয়ে বড় সেক্টর। যা অতীতে ধুঁকে ধুঁকে নিঃশেষ করা হয়েছে। দয়া করে এই পথে আপনারা আর আগাবেন না। ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে আহ্বান থাকবে— সিন্ডিকেট হবে না এটা আপনাদের নিশ্চিত করতে হবে।’

বুধবার (১৩ নভেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে রিফিউজি অ্যান্ড মাইগ্রেটরি মুভমেন্টস ইউনিট (রামরু) আয়োজিত ‘মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারে সিন্ডিকেট: ক্ষতি মূল্যায়ন জবাবদিহি নিশ্চিতকরণ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলে।

বায়রার প্রতি আহ্বান জানিয়ে সি আর আবরার বলেন, আমাদের অর্থনীতির সবচেয়ে বড় জায়গা শ্রমবাজার। এটাকে ঠিক করতে হলে, অতীতে অন্যায় কেন হয়েছে ও অন্যায় দূর করতে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে। এখানে বায়রার সদস্যদের বড় রকমের ভূমিকা পালন করতে হবে। বায়রার সদস্যরা যদি মনে করেন, এই সেক্টরকে গতিশীল করতে হবে, তাহলে এখনই কাজ করতে হবে। তাদেরকে কর্মীদের দেওয়া প্রতিশ্রুতি রাখতে হবে।

সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, শ্রমবাজারে বাংলাদেশ যেহেতু বেশি ভুক্তভোগী, তাই এর দাবি জোরে তুলতে হবে। আমরা ক্ষতির পরিমাণ জানতে পেরেছি। যেহেতু আমাদের ভুক্তোভুগীর সংখ্যা বেশি, তাই আমাদের সরকারের উচিত, মূল দায়িত্ব পালন করা। দুদেশের সঙ্গে যখন শ্রমিক পাঠানোর  চুক্তি হবে সেখানে কোনও প্রকার গোপনীয়তা থাকা যাবে না। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় দুই দেশের মধ্যে চুক্তির ব্যবস্থা করতে হবে। গোপনভাবে সবকিছু করলে জাতি মেনে নেবে না।

জনশক্তি রফতানিকারক ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সিসের (বায়রা) সাবেক যুগ্ম মহাসচিব মো. ফখরুল ইসলাম বলেন, মালয়েশিয়ার সঙ্গে আগের করা সমঝোতা স্মারক বাতিল করতে হবে। নতুন করে সমঝোতা করতে হবে। আর এখানে কোনও সিন্ডিকেট থাকবে সেটা আমরা চাই না। অভিবাসন ব্যয় কমানো দরকার। আমি মনে করি, দেড় লাখ টাকার মধ্যে অভিবাসন নিয়ে আসা সম্ভব। অথচ ৫-৭ লাখ টাকা কর্মীদের থেকে নেওয়া হয়েছে। দেড় লাখ টাকার মধ্যে শ্রমিক পাঠানো নিশ্চিত করতে হবে।