আন্দোলনরত শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) নিবন্ধিত প্রথম থেকে ১২তম নিয়োগ প্রত্যাশীরা তাদের আন্দোলন স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছেন।
মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) বিকালে এই ঘোষণা দেন আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জি এম ইয়াছিন। সচিবালয়ে বৈঠক শেষে শাহবাগে এসে তিনি এই ঘোষণা দেন।
জি এম ইয়াছিন জানান, আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহের মধ্যেই সমস্যার সমাধানের আশ্বাস পেয়েছেন প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। তাই তারা আন্দোলন স্থগিতের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
এর আগে আন্দোলনরত শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) নিবন্ধিত প্রথম থেকে ১২তম নিয়োগ প্রত্যাশীদের আট ৮ প্রতিনিধিকে সচিবালয়ে ডেকে নেওয়া হয়। মঙ্গলবার দুপুর সোয়া ১২টার দিকে শাহবাগ থানা পুলিশের একটি গাড়িতে প্রতিনিধি দলের সদস্যরা সচিবালয়ে রওনা দেন।
প্রতিনিধি দলে ছিলেন— আন্দোলনের প্রধান উপদেষ্টা আমির আসহাব, প্রধান সমন্বয়ক জি এম ইয়াছিন, সমন্বয়ক আল মুমিন, সমন্বয়ক মো. মোস্তফা কামাল, সমন্বয়ক আব্দুল কুদ্দুস, সদস্য তসলিমা খাতুন শিল্পী, সদস্য রাজিয়া সুলতানা (রথি) এবং বিভাগীয় প্রতিনিধি আব্দুল মমিন পলাশ।
তার আগে গত বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সংবাদ সম্মেলনে এনটিআরসিএ নিবন্ধিত নিয়োগ প্রত্যাশী শিক্ষক পরিষদের আহ্বায়ক জিএম ইয়াছিন বলেন, এনটিআরসিএ এখন পর্যন্ত ১৭টি নিয়োগ পরীক্ষার সুপারিশ করলেও মাত্র পাঁচটি গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নিয়োগ দিয়েছে। এতে প্রায় ১২ থেকে ১৩ হাজার যোগ্য শিক্ষক বৈষম্যের শিকার হয়েছেন। বহু নিবন্ধিত শিক্ষক একাধিকবার পরীক্ষায় পাস করেও চাকরির সুপারিশ পাননি। অথচ কিছু লোক আবেদন ছাড়াই নিয়োগ পেয়েছেন। ২০২১ সালের ৮ অক্টোবর থেকে আমরা লাগাতার মানববন্ধন করে আসছি।
তিনি আরও বলেছিলেন, এনটিআরসিএর আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে আজও আমাদের নিয়োগ অনিশ্চিত। গত ১৭ অক্টোবর ও ২৩ ডিসেম্বর প্রধান উপদেষ্টার এপিএস সাব্বির আহমেদ আমাদের দ্রুত নিয়োগের আশ্বাস দিলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি। আমলারা তার প্রতিশ্রুতি মানছেন না। আমাদের দাবি আদায় না হলে এখানেই লাগাতার অবস্থান কর্মসূচির পালন করা হবে।