প্রতিবন্ধী নারীদের জন্য স্যানিটারি পণ্য উদ্ভাবন প্রতিযোগিতা ২০২৫

প্রতিবন্ধী নারীদের মাসিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনায় সহজলভ্য ও নিরাপদ স্যানিটারি পণ্য উদ্ভাবনে উৎসাহ দিতে আন্তর্জাতিক সংস্থা ওয়াটারএইড বাংলাদেশ ও কিম্বার্লি ক্লার্ক-এর সহযোগিতায় বি-স্ক্যান আয়োজন করেছে 'প্রতিবন্ধী নারীদের জন্য স্যানিটারি পণ্য উদ্ভাবন প্রতিযোগিতা ২০২৫'।

আগামী ১০ এপ্রিল থেকে ২৮ এপ্রিল ২০২৫ পর্যন্ত আহ্বানকৃত এই প্রতিযোগিতায় দেশব্যাপী ৩১টি প্রস্তাবনা জমা পড়ে। জুরি প্যানেলের প্রাথমিক বাছাইয়ে ৪ মে ২০২৫  মোট ১৫টি প্রস্তাবনাকে চূড়ান্ত উপস্থাপনার জন্য নির্বাচিত করা হয়। এই ১৫টি দল তাদের উদ্ভাবনী ধারণা উপস্থাপন করেন।

বুধবার (৭ মে) ঢাকার বারিধারায় অবস্থিত অমনি রেসিডেন্সি হোটেলে আয়োজিত দিনব্যাপী বিচারিক অনুষ্ঠানে। বিজ্ঞ জুরিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক (এমসিএইচ) ডা. জিনাত সুলতানা, ব্র্যাকের জেন্ডার জাস্টিস ও ডাইভারসিটি প্রোগ্রামের স্পেশালিস্ট ডিসেবিলিটি ইনক্লুশন শারমিন আকবরি, এসএমসি এন্টারপ্রাইজ লিমিটেডের জয়া স্যানিটারি ন্যাপকিন মার্কেটিং অফিসার সামিহা নিশাত চৌধুরী, পিএমই – বিএনপিএস'র সমন্বয়কারী সঞ্জয় মজুমদার, মেয়ে নেটওয়ার্কের প্রতিষ্ঠাতা তৃষিয়া নাশতারান, ওয়াটারএইড বাংলাদেশের এডভোকেসি বিশেষজ্ঞ নুরুন নাহার, ওয়াটারএইড বাংলাদেশের জেন্ডার ইকুয়ালিটি ও সোশাল ইনক্লুশন (জিইএসআই) বিশেষজ্ঞ তুনাজ্জিনা হক এবং বি-স্ক্যানের সাধারণ সম্পাদক সালমা মাহবুব। প্রতিযোগিতার পরবর্তী ধাপে বিচারকমণ্ডলী সেরা ৫টি উদ্ভাবনী প্রস্তাবনাকে উন্নয়ন ও বাস্তবায়নের জন্য নির্বাচিত করবেন।

গত ১৭ এপ্রিল বৃহস্পতিবার, বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশন এর মিলনায়তনে এই প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. আশরাফী আহমদ এনডিসি, সমাজসেবা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. সাইদুর রহমান খান, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক (উপসচিব)মো. মনির হোসেন এবং  ওয়াটারএইড বাংলাদেশের দেশেস্থ  পরিচালক ও এমএইচএম প্ল্যাটফর্মের সভাপতি হাসিন জাহান।

বি-স্ক্যান বিশ্বাস করে, এই প্রতিযোগিতা প্রতিবন্ধী নারীদের জন্য আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক ও কার্যকর মাসিক স্বাস্থ্যব্যবস্থার পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।