সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কামালের স্ত্রীর প্লট-ফ্ল্যাট জব্দ, ব্যাংক হিসাব-শেয়ার অবরুদ্ধ

সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের স্ত্রী লুৎফুল তাহমিনা খানের রাজধানীর তেজগাঁওয়ের চারতলা বাড়ি, পুরাতন ভবনসহ ১৬ শতক জমির চারটি প্লট, পল্লবীর একটি ফ্ল্যাট, ছয়টি ব্যাংক হিসাব এবং দুটি কোম্পানির শেয়ার অবরুদ্ধ করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (৮ মে) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ জাকির হোসেন গালিবের আদালত দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন। দুদকের পক্ষে উপ-পরিচালক ও তদন্ত কর্মকর্তা মুহাম্মদ জয়নাল আবেদীন জব্দ ও অবরুদ্ধ চেয়ে আবেদন করেন। দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম এ তথ্য জানান।

স্থাবর সম্পদের মধ্যে রয়েছে– রাজধানীর তেজগাঁও জেলায় মনিপুরি পাড়ায় ৫ দশমিক ৫৭ কাঠা প্লটের ওপর ৩ হাজার ৪শ’ বর্গফুটের চারতলা ভবন, একই এলাকায় ৫ দশমিক ৭৬ শতক জায়গার আলাদা দলিলের দুটি প্লট ও দুই ইউনিট বিশিষ্ট পুরাতন ভবন, একই এলাকায় ১ দশমিক ৩৪ শতক জমি, পল্লবী এলাকায় ১৮৭২ বর্গফুটের একটি ফ্ল্যাট। এছাড়া ছয়টি ব্যাংক একাউন্টে আছে ৭ কোটি ৫৮ লাখ ৩৩ হাজার ৪৩৬ টাকা।

আবেদনে বলা হয়েছে, লুৎফুল তাহমিনা খান ১৫ কোটি ৪৬ লাখ ৯৪ হাজার ৫৯১ টাকা মূল্যের জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করে ভোগ দখলে রেখে দুর্নীতি দমন কমিশন আইনের ২৭(১) ধারায় অপরাধ করেছেন। এছাড়া আসাদুজ্জামান খান কামাল সরকারের গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে লুৎফুল তাহিনাকে  অপরাধে সহায়তা করে দণ্ডবিধির ১০৯ ধারায় অপরাধা করেন। তাহমিনা নিজ নামীয় এবং তার আংশিক মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের নামে একাধিক ব্যাংক হিসাবে জ্ঞাত আয়ের উৎস বহির্ভূত মোট ৪৩ কোটি ৭৭ লাখ ৭৪৫ টাকার সন্দেহজনক লেনদেন করেছেন। ওই অর্থের স্থানান্তর, হস্তান্তর ও রূপান্তরের মাধ্যমে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২, এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারার শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন বলে প্রতীয়মান হওয়ায় তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। মামলার তদন্তকালে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, আসামিরা মামলা সংশ্লিষ্ট অপরাধলব্ধ সম্পত্তি হস্তান্তরের চেষ্টা করছেন, যা করতে পারলে মামলার মূল উদ্দেশ্যই ব্যর্থ হবে। তাই আদালতের বিচার শেষে সরকারের অনুকূলে সম্পত্তি বাজেয়াপ্তির সুবিধার্থে আসামিদের বিভিন্ন সম্পত্তির মধ্যে আপাতত উল্লিখিত স্থাবর সম্পদ ক্রোক, অস্থাবর সম্পদ অবরুদ্ধ করা একান্ত প্রয়োজন।