মনোনয়ন বাণিজ্য, চাঁদাবাজি ও ডাকাতির অভিযোগ এনে জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান জিএম কাদের, স্ত্রী শেরিফা কাদের, মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করা হয়েছে।
ঢাকার মহানগর হাকিম মাসুম মিয়ার আদালতে গত রবিবার (১৮মে) জাতীয় পার্টির সাবেক সদস্য ও মানবাধিকারকর্মী নাজমিন সুলতানা তুলি মামলার আবেদন করেন। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে আগামী ২৬ মে আদেশের জন্য রেখেছেন।
শনিবার (২৪ মে) সংশ্লিষ্ট আদিলতের বেঞ্চ সহকারি জাহিদ হাসান এতথ্য নিশ্চিত করেন।
মামলায় আরও যাদের আসামি করার আবেদন করা হয়েছে তারা হলেন— জাপার প্রেসিডিয়াম সদস্য ও অতিরিক্ত মহাসচিব রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, ডিবি পুলিশের সাবেক প্রধান হারুন অর রশিদ, জাপার কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নেওয়াজ আলী ভূইয়া, উত্তরা গোয়েন্দা বিভাগের সাবেক ডিসি আকরাম, গোয়েন্দা উত্তরা বিভাগের সাবেক এডিসি নাজমুল,বিমানবন্দর জোনাল টিমের এসআই পবিত্র সরকার, জাপার ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্য সাইদুল ইসলাম।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, জি এম কাদেরের প্রত্যক্ষ মদদে অন্য আসামিরা ২০২৪ সালের ডামি নির্বাচনে মনোনয়ন বাণিজ্যে লিপ্ত হন।নাজমিন সুলতানা তুলিকে মনোনয়ন দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ৫০ লাখ টাকা দাবি করে মেসেজ পাঠান। এ নিয়ে কেন্দ্রীয় কমিটির মিটিংয়ে বাদী প্রতিবাদ করলে উত্তপ্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় এবং এতে দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দল বৃদ্ধি পায়। পরে প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য পুলিশ প্রশাসনের কতিপয় দুর্নীতিগ্রস্ত সাবেক কর্মকর্তার সহযোগিতায় ও অজ্ঞাতনামা ৪০-৫০ জন লোক নিয়ে ২০২৩ সালের ১০ অক্টোবর রাত সাড়ে আটটায় বাদীর বাসার দরজা ভেঙে প্রবেশ করে আসবাবপত্র, সাত ভরি স্বর্ণালঙ্কার, নগদ ৩ লাখ ৬৫ হাজার টাকা, গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র, মোবাইল, ল্যাপটপসহ মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। বাদী এসব নিয়ে সংবাদ সম্মেলনের প্রস্তুতি নিলে তাকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়।