সরকারি চাকরি সংশোধন অধ্যাদেশ-২০২৫ বাতিল করাসহ ৫ দফা দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী সমন্বয় পরিষদ। সোমবার (২৬ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী সমন্বয় পরিষদ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে পরিষদের মহাসচিব বদরুল আলম সবুজ বলেন, বাংলাদেশ আইএলও কনভেনশনে স্বাক্ষরকারী দেশ হলেও এদেশের গণ-কর্মচারীদের অধিকার আদায়ে ট্রেড ইউনিয়নের চর্চা থেকে গণ-কর্মচারীদের বঞ্চিত রেখেছে। এমতাবস্থায়, গণ-কর্মচারীদের মৌলিক সমস্যা নিরসনের কোনও উদ্যোগ না নিয়ে সরকার নিত্যনতুন নিয়মকানুন জারি করে আসছে। সম্প্রতি সরকারি কর্মচারী চাকরি সংশোধন অধ্যাদেশ ২০২৫ নামে একটি কালো আইন সরকার প্রণয়ন করেছে। যা কর্মচারীদের মনে গভীর ক্ষোভ ও হতাশার জন্ম দিয়েছে।
তিনি বলেন, এই অধ্যাদেশে গণ-কর্মচারীদের পেশাগত সুরক্ষা ও সমস্যা সমাধানের কোনও নির্দেশনা না রেখে স্বল্পতম সময়ের মধ্যে চাকরি থেকে অপসারনসহ কঠোর শাস্তি বিধানের বিষয় উল্লেখ রয়েছে, যা কর্মচারীদের চাকরির প্রতি একটি মারাত্মক হুমকি। আমরা এই নিবর্তনমূলক অধ্যাদেশ অবিলম্বে বাতিলের জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবি জানাচ্ছি।
এসময় তারা তাদের ৫ দফা দাবিগুলো তুলে ধরেন। তাদের দাবিগুলো হলো—
১। বৈষম্য নিরসনে ১০ ধাপে বেতন নির্ধারণসহ অবিলম্বে নবম বেতন কমিশন গঠন করা।
২। টাইম স্কেল, সিলেকশন গ্রেড, পূর্বের ন্যায় শতভাগ পেনশন, পেনশন প্রাচ্যুইটির হার ৫০০ টাকা নির্ধারণ করা।
৩। সচিবালয়ের ন্যায় সব দফতরে অভিন্ন নিয়োগবিধি, সমকাজে সমবেতন ও পদবি পরিবর্তন করা।
৪। ৫০ শতাংশ মহার্ঘ বাতা, বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট ২০ শতাংশ নির্ধারণ, ন্যায্যমূল্যে রেশন প্রদান, আউটসোর্সিং নিয়োগপ্রথা বিলোপ করা।
৫। আইএলও সনদের ৮৭ ও ৯৮ ধারা মোতাবেক গণ-কর্মচারীদের ট্রেড ইউনিয়ন অধিকার প্রদান করা।
এসময় সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী সমন্বয় পরিষদের চেয়ারম্যান নোমানুজ্জামান আজাদ, সভাপতি মোহাম্মদ আজিমসহ অন্যান্য কেন্দ্রীয় নেতারা।