জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের শ্রেণি-চেতনা বৈষম্যহীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় অনুসরণযোগ্য বলে জানিয়েছন কবি, সমাজবিজ্ঞানী ও লেখক অধ্যাপক ড. মু. নজরুল ইসলাম তামিজী। শনিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর ক্র্যাব মিলনায়তনে জাতীয় মানবাধিকার সোসাইটি আয়োজিত ‘নজরুলের শ্রেণি চেতনা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিচারপতি আবদুস সালাম মামুন। গেস্ট অব অনার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রবীণ সংগঠক এইচ এম রেজাউল করিম তুহিন ও ড. আবু তাহের। প্রধান আলোচক ছিলেন কোটা সংস্কার আন্দোলনের রূপকার ও দৈনিক ইনকিলাবের সিনিয়র সাংবাদিক মোহাম্মদ আবদুল অদুদ। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কবি ও গবেষক প্রদীপ মিত্র। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জলছবি সম্পাদক কবি জামসেদ ওয়াজেদ, স্বদেশ বিচিত্রা সম্পাদক অশোক ধর, ডেমরা বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অধ্যাপক নায়লা ইসলাম, হৃদরোগবিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অসীম কুমার ধর, গণঅধিকার পরিষদের নেত্রী নীলা শেখ, কবি তৌহিদুল ইসলাম কনক, গীতিকার গোলাম কিবরিয়া, মনজুর হোসেন ইসা ও কবি রলি আক্তার।
সভাপতির বক্তব্যে নজরুল ইসলাম তামিজী বলেন, ‘নজরুল বিদ্রোহী কবি, সাম্যের কবি, শ্রেণি সচেতন কবি। মেহনতি মানুষের প্রতি অসীম দরদ ও তাদের শ্রেণি-মুক্তির জন্য শোষক শ্রেণির বিরুদ্ধে এ কবি যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন। সমাজের অধিকার হারা বঞ্চিত মানুষের প্রতি নজরুলের ভালোবাসা, দেশপ্রেম আমাদের মানবিক কাজে উদ্বুদ্ধ করে। দরিদ্র, নিপীড়িত মানুষের জন্য জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ছিল অসীম মমত্ব।’
বিচারপতি আবদুস সালাম মামুন বলেন, ‘নজরুলের চেতনা অনুসরণ করতে হবে। শ্রমিক শ্রেণির মুক্তির জন্য নজরুলের অবদান অনস্বীকার্য।’
প্রধান আলোচক সিনিয়র সাংবাদিক মোহাম্মদ আবদুল অদুদ বলেন, ‘নজরুল ছিলেন সাম্যের কবি, বৈষম্যের বিরুদ্ধে বজ্রকঠিন। আজকের বাংলাদেশে বঞ্চনা থেকে নানা ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া দেখতে পাচ্ছি। আমি যেমন বিসিএসএ বঞ্চিত হওয়ার কারণে রিট করেছিলাম, তেমনি আজকে জুলাই বিপ্লবে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণকারী অনেকে বঞ্চিত বলে জানতে পারছি। এজন্য কোটা আন্দোলন, ফিমেইল স্টুডেন্ট, প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি, ইসলামিক অর্গানাইজেশনসহ বিভিন্ন সেগমেন্ট থেকে আরও প্রয়োজনীয় সংখ্যক উপদেষ্টা নিয়ে দ্রুত উপদেষ্টা পরিষদ পুনর্গঠন করে সব বঞ্চনা দূর করার দাবি জানাই।’