১২তম দিনের মতো অবস্থান কর্মসূচিতে ‘তথ্য আপা’ কর্মীরা

দুই দফা দাবিতে ১২তম দিনের মতো জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন ‘তথ্য আপা’ প্রকল্পের কর্মীরা। 

রবিবার (৮ জুন) সকাল ৯টা থেকে তারা আবারও জাতীয় প্রেস ক্লাবের অবস্থান নিয়েছেন। বেলা সাড়ে ১১টায় সরেজমিনে দেখা যায়, শতাধিক কর্মী নিজেদের দাবি সম্বলিত ব্যানার নিয়ে বসে বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছেন। শনিবার (৭ জুন) পবিত্র ঈদুল আজহার দিনেও সন্ধ্যা নাগাদ সেখানে ছিলেন তারা। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে কোনও আশ্বাস পায়নি তারা।

মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অন্তর্ভুক্ত এ প্রকল্পে (২য় পর্যায়ের) কর্মরতদের সমগ্রেডে পদসৃজনপূর্বক রাজস্বখাতে স্থানান্তর ও কর্তনকৃত বেতন ভাতা সমূহ অবিলম্বে পরিশোধের দাবিতে গত ২৮মে থেকে আন্দোলন করছেন তারা। অবিলম্বে দাবি পূরণ না হলে কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন আন্দোলনকারীরা।

অবস্থান কর্মসূচি অংশ নেওয়া কয়েক জন জানান, দাবি আদায়ে গত (১ জুন) কয়েক দফা বাধা অতিক্রম করে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে অবস্থান নেন তারা। এ সময় আন্দোলনের পাশাপাশি প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপিও দেওয়া হয়। তবে সরকারের পক্ষ এ ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট কোনও কথা বলা হয়নি। বরং সেদিন শেষ বিকালে পুলিশ তাদের জোর করে সেখান থেকে সরিয়ে দেয়। এ সময় পুলিশের সঙ্গে তাদের ধস্তাধস্তিও হয়। তখন অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়েন। সেসময় পুলিশ কয়েকজনকে ধরে নিয়ে গেলও পরক্ষণেই আবার ছেড়ে দেয়।

আখতার জাহান নামের একজন আন্দোলনকারী বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, তিনি রংপুরের কাউনিয়া উপজেলায় কর্মরত। চাকরি স্থায়ী করার কথা বলে ২০১৯ সালের এপ্রিল মাস থেকে প্রতি মাসে কর্মকর্তাদের কাছ থেকে ২ হাজার ৪০০ ও সহকারীদের বেতন থেকে ১ হাজার ৩৯০ টাকা কেটে নেয় মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়। কিন্তু দাবি পূরণের কোনও অগ্রগতি না দেখে গত ফেব্রুয়ারিতে আন্দোলনের প্রেক্ষিতে মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আশ্বাস দিয়েছিলেন। মাঝে তিন মাসের বেশি সময় অতিবাহিত হলেও কোনও উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।

তথ্য আপা কর্মীদের ভাষ্য মতে, অন্যান্য সরকারি চাকরির মতো পরীক্ষা দিয়ে উত্তীর্ণ হয়ে ২০১৮ সালের নভেম্বরে এ প্রকল্পে যোগ দেন তারা।

৪৯২টি উপজেলায় তথ্যকেন্দ্রে একজন করে তথ্যসেবা কর্মকর্তা (১০ম গ্রেড), দুজন তথ্যসেবা সহকারী (১৬তম গ্রেড) ও একজন করে অফিস সহায়ক (২০তম গ্রেড) মিলিয়ে মোট ১ হাজার ৯৬৮ জন মাঠ পর্যায়ে কর্মরত রয়েছেন। তৃণমূল নারীদের স্বাস্থ্য, শিক্ষা, কৃষি, আইন, জেন্ডার, ব্যবসা, পরিবার পরিকল্পনা এবং সাইবার সিকিউরিটি এই ৮টি বিষয়ে জরুরি তথ্য সরবরাহ ও সহায়তা দিয়ে আসছেন দেড় হাজার কর্মী।