সাবেক সিইসি নূরুল হুদা ৪ দিনের রিমান্ডে

প্রহসনের নির্বাচনের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদার চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। বুধবার (২৩ জুন) ঢাকা চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মোস্তাফিজুর রহমানের আদালত এ আদেশ দেন।

আজ কেএম নূরুল হুদাকে আদালতে হাজির করে শেরে বাংলা নগর থানার উপ-পরিদর্শক শামসুজ্জোহা সরকার তার ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন আসামি পক্ষের আইনজীবী মোরশেদ হোসেন শাহীন। রাষ্ট্র পক্ষের পাবলিক প্রসিকিউটর রিমান্ডের পক্ষে শুনানি করেন। শুনানি শেষে চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন বিচারক।

এর আগে, রবিবার (২২ জুন) সন্ধ্যায় কেএম নূরুল হুদাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, কেএম নূরুল হুদা ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকালে বাংলাদেশের প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন। কিন্তু তিনি এ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে অন্তর্ভুক্তিমূলকভাবে সম্পন্ন করতে পারেননি এবং দেশকে গভীর সংকটের মধ্যে নিমজ্জিত করেছেন। প্রশাসনকে একটি পক্ষে ব্যবহার করেছে; যাতে সংবিধান অমান্য হয়েছে এবং শপথ ঠিক রাখতে পারেননি। দণ্ডবিধি আইনের ১৭১ক ধারা মতে নির্বাচনের ছদ্মবেশ ধারণ করে দিনের ভোট রাতে সম্পাদন করতে সংশ্লিষ্ট সরকারি প্রতিষ্ঠানকে বাধ্য করে নির্বাচন সম্পন্ন করেছেন। তিনি ষড়যন্ত্রমূলকভাবে সরকারি আদেশ, সাংবিধানিক ক্ষমতা হ্রাস, দেশের জনগণের ভোটাধিকার লঙ্ঘন করেছেন।

আরও বলা হয়, নূরুল হুদা একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জনগণকে তাদের ভোটের অধিকার থেকে বঞ্চিত করেন। রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অপকর্ম ও তার সহযোগীদের শনাক্ত করতে তাকে ১০ দিনের পুলিশ হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন।