চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার ভাটিয়ারি ইউনিয়নের তুলাতলী মৌজায় বনভূমিতে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা ‘কোহিনূর স্টিল’ নামের একটি শিপ ব্রেকিং ইয়ার্ডে উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন। এছাড়া গাজীপুরে প্রায় ১০ শতাংশ বনভূমি উদ্ধার করে বনায়ন করেছে বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ।
বুধবার (২৫ জুন) সকাল থেকে চালানো এ অভিযানে প্রতিষ্ঠানটির অফিসসহ দুটি ভবন, বৈদ্যুতিক সাবস্টেশন, খুঁটি ও কাঁটাতারের ঘেরা ধ্বংস করা হয়। মন্ত্রণালয়ের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, অনুমোদন ও ইজারা ছাড়াই আনুমানিক ৭ দশমিক ১০ একর বনভূমির ওপর দীর্ঘদিন ধরে প্রতিষ্ঠানটি অবৈধভাবে কার্যক্রম চালিয়ে আসছিল। এ সংক্রান্ত একাধিক নোটিশ দেওয়ার পরও দখল না ছাড়ায় জেলা প্রশাসকের নির্দেশে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আল আমিন হোসেন ও মো. মঈনুল হাসানের নেতৃত্বে এ অভিযান চালানো হয়।
সেনাবাহিনীর একটি দল, র্যাব, পুলিশ, আনসার, পরিবেশ অধিদফতর ও বন বিভাগের কর্মকর্তারা অভিযানে অংশ নেয়।
জমি গেজেটভুক্ত বনভূমি হওয়ায় সেখানে জাহাজ ভাঙা ইয়ার্ড স্থাপন বৈধ নয়। এরআগে কখনও এই জমি শিল্প প্রতিষ্ঠানের ইজারা দেওয়া হয়নি। এমনকি হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী, রাজা কাশেম ও তার স্ত্রীর নামে বরাদ্দ চেয়ে করা আবেদনও নামঞ্জুর করে জেলা প্রশাসন।
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে অনুমোদিত সাতটি শিল্প মৌজায় শিল্পকারখানা স্থাপনের অনুমতি রয়েছে, কিন্তু তুলাতুলী অঞ্চল এসবের অন্তর্ভুক্ত নয়; এটি বনভূমি। সে কারণে পরিবেশ রক্ষায় ও আইন অনুযায়ী চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন এই অবৈধ স্থাপনার বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়েছে। উচ্ছেদ শেষে জমিটি সরকারের হেফাজতে নেওয়া হয় এবং পুনরায় দখল রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
গাজীপুরে বনভূমি উদ্ধার
গাজীপুরের বাউপাড়া বিট এলাকায় প্রায় এক কোটি টাকা মূল্যের প্রায় ১০ শতাংশ বনভূমি উদ্ধার করে, সেখানে নতুন করে বনায়ন করেছে বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাশের এই সরকারি বনভূমি দীর্ঘদিন ধরে দখল করে রেখেছিল নিটল মটরস লিমিটেড।
সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানটি সেখানে বাউন্ডারি ওয়াল নির্মাণের কাজ শুরু করলে বন বিভাগ তা বন্ধ করার চেষ্টা করে। তবে নিটল মটরসের কর্মকর্তারা নিষেধ উপেক্ষা করে রাতে গোপনে নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছিলেন। ঘটনার পর বিট কর্মকর্তা ঘটনাস্থল থেকে নির্মাণ সামগ্রী জব্দ করেন এবং একটি মামলা দায়ের করা হয়। বন বিভাগ অভিযান চালিয়ে বনভূমিটি দখলমুক্ত করে।