সামাজিক সুরক্ষা খাতে বরাদ্দ বাড়ানোর দাবি

সামাজিক নিরাপত্তা খাতকে বৈষম্য নিরসনের গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার হিসেবে বিবেচনা করে বাজেটে বরাদ্দ বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে ‘খাদ্য অধিকার বাংলাদেশ’ আয়োজিত ‘বৈষম্য নিরসনে সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচি ও জাতীয় বাজেট’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় এই দাবি জানানো হয়।

মতবিনিময় সভায় বক্তারা বলেন, প্রস্তাবিত বাজেটে ভাতা ও উপকারভোগীর সংখ্যা কিছুটা বাড়লেও বরাদ্দ কমেছে; যা জিডিপির ১ দশমিক ৮৭ শতাংশ। পেনশন ও কৃষি ভর্তুকিসহ অনেক অপ্রাসঙ্গিক খাতকেও সামাজিক সুরক্ষায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

এ সময় সভায় খাদ্য অধিকার বাংলাদেশ কয়েকটি সুপারিশ তুলে ধরে। সেগুলো হলো– সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচিগুলোকে আরও যাচাই-বাছাই করে যেগুলো এর অন্তর্ভুক্ত হওয়া উচিত নয় সেগুলোকে বাদ দিয়ে একটিকে অধিকতর দরিদ্র এবং ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীবান্ধব করা; শহরে বসবাসরত দরিদ্র ও ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর জন্য নতুন কর্মসূচি গ্রহণ এবং তা বাবদ বরাদ্দ দেওয়া; অতি দ্রুত একটি যাথাযথ টার্গেটিং এপ্রোচ ঠিক করা এবং তার ভিত্তিতে সঠিক উপকারভোগী জনগোষ্ঠী নির্ধারণ নিশ্চিত করা; সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচি খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধি করা এবং সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির বরাদ্দ ও তার যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে নিয়মিত এবং কার্যকর মনিটরিং ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

বক্তারা বলেন, শুধু ভাতা নয় বরং সুশাসন ও রাজনৈতিক সদিচ্ছাই পারে এই খাতকে কার্যকর ও বৈষম্য হ্রাসের মাধ্যম করে তুলতে।

সভায় সভাপতিত্ব করেন ওয়েভ ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক মহসিন আলী। এতে বক্তব্য রাখেন সমাজসেবা অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. সাইদুর রহমান খান, অধ্যাপক ড. এম এম আকাশ, ড. সেলিম রায়হান ও বিআইডিএসের গবেষক ড. এস এম জুলফিকার আলী।