জ্বালানি খাতের নিরাপত্তা ও স্থায়িত্ব নিশ্চিত করতে নবায়নযোগ্য জ্বালানির সম্প্রসারণ এখন সময়ের দাবি বলে মত দিয়েছে বাংলাদেশ টেকসই ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি সমিতি (বিএসআরইএ)। এ লক্ষ্যে সরকারের উদ্দেশে একাধিক সুপারিশ ও প্রস্তাবনা তুলে ধরেছে সংগঠনটি।
শনিবার (৫ জুলাই) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব সুপারিশ তুলে ধরা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, দেশের প্রাকৃতিক গ্যাস দিন দিন কমে যাওয়ায় জ্বালানি খাত আমদানিনির্ভর হয়ে পড়ছে, যা বৈদেশিক মুদ্রার ওপর চাপ তৈরি করছে। সুতরাং নবায়নযোগ্য জ্বালানির সম্প্রসারণ এখন সময়ের দাবি।
তারা বলেন, আমরা একটি স্থিতিশীল, বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ চাই। সেখানে আন্তর্জাতিক ও দেশীয় বিনিয়োগকারীরা আস্থা পাবে এবং দেশের নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাত একটি নির্ভরযোগ্য ভবিষ্যৎ গন্তব্য হিসেবে গড়ে উঠবে।
বিএসআরইএ’র সুপারিশসমূহ হলো–
১. সরকার ইতোমধ্যে ৫৫টি নতুন সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্য দরপত্র আহ্বান করেছে। এটি অবশ্যই ইতিবাচক পদক্ষেপ। তবে এসব প্রকল্পে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ আশানুরূপ নয়। কিছু প্রকল্পে মাত্র একজন দরদাতা অংশ নিয়েছেন, আবার কিছুতে কেউই আগ্রহ দেখাননি। আগে ৩৭টি সৌর প্রকল্প বাতিল হওয়ায় বিনিয়োগকারীদের মধ্যে এক ধরনের অনাস্থা তৈরি হয়। এসব বাতিল করা প্রকল্পে ইতোমধ্যে প্রায় ৩০০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ হয়েছে। তাই বাতিল করা প্রকল্পগুলো পুনর্বিবেচনা করতে হবে।
২. ওপেক্স বিনিয়োগের ক্ষেত্রে কর-সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে, যেন বিদ্যুৎ উৎপাদনকারীরা দীর্ঘমেয়াদে সাশ্রয়ী মূল্যে ও কার্যকরভাবে নবায়নযোগ্য জ্বালানির প্রসার ঘটাতে পারে।
৩. সোলার ইকুইপমেন্টে উচ্চ হারে শুল্ক বিদ্যমান। সেগুলো কমিয়ে একীভূত ও সহায়ক শুল্ক কাঠামো তৈরি করতে হবে।
৪. নেট মিটারিং প্রক্রিয়া স্বচ্ছ ও বিনিয়োগবান্ধব করতে হবে।
৫. লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারির সেল আমদানির ওপর বিদ্যমান করহার কমানো উচিত।
৬. হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী, সব ছাদে সোলার প্যানেল স্থাপন নিশ্চিতে মন্ত্রণালয়ের অধীনে একটি পৃথক সেল গঠন করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে ছিলেন– বিএসআরইএ’র জেনারেল সেক্রেটারি আতাউর রহমান সরকার রোজেল, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট জাহিদুল আলম, আবু তাহের, শেখ মোহাম্মদ রুহুল আমিন, ফাইনান্স ডিরেক্টর নিতাই পদ সাহা প্রমুখ।