১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের ফল পুনর্মূল্যায়নের দাবিতে অবস্থান

ভাইভায় অনিয়ম ও বৈষম্যের অভিযোগ তুলে ফল পুনর্মূল্যায়ন ও সবাইকে সনদ দেওয়ার দাবিতে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচিতে নেমেছেন ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ও ভাইভায় অংশ নেওয়া প্রার্থীরা। 

মঙ্গলবার (৮ জুলাই) সকাল থেকে রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এ কর্মসূচি শুরু করেন তারা।

তাদের দাবি, মৌখিক পরীক্ষা (ভাইভা) ছিল স্বচ্ছতা বিবর্জিত। একই প্রশ্ন হলেও বোর্ড ভেদে ফলাফলে ব্যাপক পার্থক্য দেখা গেছে। অনেকেই ভাইভায় ভালো করেও ফেল করেছেন, আবার একই মানসিক প্রস্তুতির মধ্যে কেউ কেউ অনায়াসে পাস করেছেন। এই বৈষম্য দূর করে সবার সনদ নিশ্চিত না হলে আন্দোলন চলবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।

অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নিতে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা প্রার্থীরা প্ল্যাকার্ড, ব্যানার হাতে বিক্ষোভ করছেন। স্লোগান দিচ্ছেন–‘ভাইভায় প্রহসন মানি না’, ‘একই ভাইভা দুই রায়, মানিনা মানবো না’, ‘সবার জন্য সনদ চাই’।

চট্টগ্রাম থেকে এসে কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া প্রার্থী শহীন খান বলেন, ‘লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ভাইভায় ভালো করেও আমি বাদ পড়েছি। অথচ আমার পাশেই বসা এক প্রার্থী, যিনি ঠিকমতো উত্তরই দিতে পারেননি, তিনি পাস করেছেন। এটা অন্যায়।’

আন্দোলনকারীদের দাবি, জাতীয় শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) ঘোষিত চূড়ান্ত ফল বাতিল করে তা পুনর্মূল্যায়ন করতে হবে। পাশাপাশি যারা লিখিত ও ভাইভা উভয় পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন, তাদের সবাইকে সনদ দিতে হবে।

প্রসঙ্গত, গত ৪ জুন ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করে এনটিআরসিএ। এতে ৬০ হাজার ৫২১ জনকে উত্তীর্ণ ঘোষণা করা হয়। পরে ২৩ জুন সংশোধিত ফলাফলে আরও ১১৩ জনের নাম যুক্ত হয়। এনটিআরসিএ জানায়, ২৩ মার্চ অনুষ্ঠিত এক পরীক্ষার ফল কারিগরি ত্রুটির কারণে বাদ পড়েছিল, যাচাই-বাছাই শেষে তা সংশোধন করা হয়েছে।

তবে ফল প্রকাশের পর থেকেই ব্যাপক অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়ে। অভিযোগ উঠে, কোথাও ৩০ জনের মধ্যে মাত্র ১ থেকে ৩ জন পাস করেছেন, আবার কোথাও প্রায় সবাই উত্তীর্ণ হয়েছেন। এতে ফলাফল নিয়ে স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতা প্রশ্নের মুখে পড়ে।