শ্যামলী ও উত্তরা থেকে দেড় শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

 

শ্যামলী ও উত্তরা থেকে দেড় শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদঅবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে রাজধানীর শ্যামলী ও উত্তরায় অভিযান চালিয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি)। সংস্থাটির আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ হোসেন শ্যামলীতে ও জুলকার নায়ন উত্তরায় এ অভিযান পরিচালনা করেন। ডিএনসিসির জনসংযোগ দফতর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

অভিযানে শ্যামলী রিং রোডের উভয় পাশের দেড় শতাধিক অবৈধ স্থাপনা অপসারণ করা হয়। এসময় সড়ক ও ফুটপাতে অবৈধভাবে নির্মাণ সামগ্রী রাখা, মোটরসাইকেল পার্ক করা, এসি স্থাপন, জেনারেটর রাখা এসব কারণে ১১টি মামলায় ৪৭ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। এছাড়া উত্তরা ৩ নম্বর সেক্টর ও জসিম উদ্দিন এভিনিউ থেকে ১০টি স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। ট্রেড লাইসেন্স ছাড়া ব্যবসা করার অপরাধে একটি প্রতিষ্ঠানকে ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে ডিএনসিসির অভিযান ও ভ্রাম্যমাণ আদালত অব্যাহত থাকবে।

এদিকে একই দফতরের পৃথক এক বিজ্ঞপ্তি জানানো হয়, ডিএনসিসির সম্পত্তি বিভাগের জরিপ কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে প্রতারণার অভিযোগে মো. আমিনুল ইসলাম (আমিন) নামে এক ব্যক্তিকে বুধবার গ্রেফতার করা হয়। তিনি নিজেকে ডিএনসিসির জরিপ কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে ট্রেড লাইসেন্স করে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে বিভিন্ন লোকের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন বলে ডিএনসিসির কাছে অনেকেই অভিযোগ করেন। এ পরিপ্রেক্ষিতে ডিএনসিসির প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা মো. আমিনুল ইসলাম ১৬ সেপ্টেম্বর গুলশান থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।

অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার (১৬ অক্টোবর) সকালে বাড্ডা থানা পুলিশ পূর্ব বাড্ডা ইউসেফ স্কুলের মেইন গেটের সামনের রাস্তা থেকে তাকে আটক করে। এসময় তার কাছ থেকে ডিএনসিসির জরিপ কর্মকর্তা পরিচয়ের একটি কার্ড জব্দ করা হয়। বিষয়টি নিয়ে বাড্ডা থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। পরে আদালতের মাধ্যমে গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিকে জেলহাজতে পাঠানো হয়।