যাত্রী সংকটে বিমানের আরও দুদিনের ফ্লাইট বাতিল

1প্রায় দুই মাস পর ১ জুন থেকে অভ্যন্তরীণ রুটে ফ্লাইট চালু হলেও যাত্রী সংকটে এয়ারলাইন্সগুলো। তবে সবচেয়ে বেশি যাত্রী সংকটে পড়ছে রাষ্ট্রায়ত্ত বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। যাত্রী সংকটে ফ্লাইট শুরুর দিনে (১ জুন) ৬টি ফ্লাইটের মধ্যে ৪টি বাতিল করতে হয়েছে বিমানকে। দ্বিতীয় দিন মঙ্গলবারও (২ জুন) ৬টি ফ্লাইটই বাতিল করতে হয়েছে। সংকট না কাটায় ৩ ও ৪ জুনের ফ্লাইটগুলোও বাতিল করেছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স।

সাধারণ ছুটি শেষে সোমবার (১ জুন) থেকে সীমিত পরিসরে ঢাকা থেকে দেশের অভ্যন্তরে ৩টি জেলায় বিমান চলাচলের অনুমতি দেয় বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)। বেবিচক জানিয়েছে, ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম, সিলেট, সৈয়দপুর রুটে অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট চলাচল করতে পারবে। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এই ৩টি রুটে ২টি করে ৬টি ফ্লাইট পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেয়।

তবে ফ্লাইট শুরুর দিনেই ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম, সিলেট ও সৈয়দপুরে ৬টি ফ্লাইট থাকলেও যাত্রী সংকটে ৪টি ফ্লাইট বাতিল হয় বিমানের। বিমানের উপ-মহাব্যবস্থাপক তাহেরা খন্দকার বলেন, যাত্রী কম থাকায় ফ্লাইটগুলো বাতিল করতে হয়েছে। অন্যদিকে ঢাকা সৈয়দপুর ৪ জন যাত্রী নিয়ে ফ্লাইট গিয়েছে। ঢাকায় ফিরেছে ২০ জন যাত্রী নিয়ে।

যাত্রী না পেয়ে মঙ্গলবার (২ জুন) কোনও ফ্লাইট চালাতে পারেনি বিমান। যাত্রী সংকট চলমান থাকায় ৩ ও ৪ জুনের সব ফ্লাইট বাতিল করতে হয়েছে বিমানকে। এয়ারলাইন্সটির একাধিক কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

যদিও বেসরকারি এয়ারলাইন্স নভোএয়ার ও ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সকে বিমানের মতো সংকটে পড়তে হয়নি। এই দুটি এয়ারলাইন্স সীমিত যাত্রী নিয়ে ফ্লাইট পরিচালনা করছে।