মুক্তিযোদ্ধা কোটা পুনর্বহালসহ ৭ দফা দাবিতে শাহবাগে অবরোধ  

সব পদে মুক্তিযোদ্ধা কোটা পুনর্বহালসহ সাত দফা দাবিতে সাড়ে পাঁচ ঘণ্টা ধরে রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরোধ করে রেখেছেন ‘বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদের’ নেতাকর্মীরা। মঙ্গলবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুর থেকে টানা অবরোধ কর্মসূচি পালন করছে সংগঠনটি।

সংগঠনের চেয়ারম্যান সোলায়মান মিয়া জানান, সকালে পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী শাহবাগ এলাকায় কর্মসূচি পালন করছেন তারা। তিনি বলেন, ‘সাত দফা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের অবস্থান চলবে। রাতেও আমরা অবস্থান কর্মসূচি পালন করবো।’

এই কর্মসূচির নেতৃত্ব দিচ্ছেন সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান মো. সোলায়মান মিয়া। এছাড়াও উপস্থিত রয়েছেন প্রতিষ্ঠাতা মহাসচিব শফিকুল ইসলাম বাবু, ভাইস চেয়ারম্যান সজীব সরকার, মিজানুর রহমান, ইয়াসিন আকন্দ, তসলিমা রেজা, যুগ্ম মহাসচিব ফারুক খান, সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল হুদা, তিতুমীরসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।

মিজানুর রহমান বলেন, ‘৩০ শতাংশ কোটাসহ সাত দফা দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেছি। আমাদের দাবি না মানা পর্যন্ত আমরা শাহবাগ ছেড়ে যাবো না।’

শাহবাগ মোড়ে অবরোধকারীদের অবস্থান

বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদের দাবিগুলো হচ্ছে—

১. সব চাকরির ক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধা কোটা পুনর্বহাল করতে হবে।

২. সাংবিধানিক স্বীকৃতি ও মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সুরক্ষা আইন পাস করা ও মর্যাদা নির্ধারণ করা।

৩. মুক্তিযোদ্ধা সংসদ নির্বাচনে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও অসুস্থ মুক্তিযোদ্ধার পরিবারের একজন প্রতিনিধিকে ভোটার এবং ১৯৭২ সালের সংজ্ঞা অনুযায়ী, ‘ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা’ তালিকা প্রণয়ন করতে হবে।

৪. মুজিব কোটের পবিত্রতা রক্ষায় সিনেমা, সিরিয়াল নাটকে মন্দ চরিত্রে মুজিব কোট পরা নিষিদ্ধ করাসহ মন্দ লোকেরা মুজিব কোট পরতে পারবে না—এই মর্মে আইন পাস করতে হবে।

৫. মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের পরিত্যক্ত সম্পত্তি দখলমুক্ত করে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে রূপান্তর করা।

৬. মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের ওপর হামলা, নির্যাতন ও জমি দখলের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে।

৭. দুর্নীতি, মাদক, ধর্ষণের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রাখাসহ কঠোর আইন প্রণয়ন করতে হবে এবং হাসপাতাল, সরকারি অফিস, বিমানবন্দরসহ সবক্ষেত্রে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ভিআইপি মর্যাদা দিতে হবে।

শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মামুন অর রশীদ বাংলা  ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আন্দোলনকারীদের শুরু থেকে উঠে যাওয়ার জন্য আমরা অনুরোধ করেছি, কিন্তু তারা আমাদের কথা শুনছেন না।’