বইমেলায় শনিবার পাঠক-ক্রেতা ছিল কম

করোনা মহামারির মধ্যে বইমেলা পার করলো তৃতীয় দিন। শুক্রবার (১৯ মার্চ) ছুটির দিনে মেলায় দর্শক সমাগম বাড়লেও শনিবার (২০ মার্চ) ছিল ভিন্ন চিত্র। আজ সাপ্তাহিক ছুটি থাকলেও মেলায় দর্শকের উপস্থিতি ছিল তুলনামূলক কম, আর ক্রেতা ছিল আরও কম।

সাপ্তাহিক ছুটির দিনে মেলা শুরু হয় সকাল ১১টায়। শেষ হয় রাত ৯ টায়। কিন্তু শনিবার সকালের দিকে বইমেলা শুরু হলেও পাঠক একদম ছিল না। বেলা গড়িয়ে বিকালের পরও খুব বেশি দর্শনার্থীর সমাগম ছিল না মেলায়।

বিক্রেতারা জানান, সাপ্তাহিক ছুটির দিন সকালের দিকে মেলা প্রাঙ্গণে একটা রমরমা ভাব থাকে। এবার শিশু প্রহর নেই তাই দর্শনার্থীর সংখ্যা আরও কমে গেছে। এছাড়া করোনা পরিস্থিতি আর দিনের তাপমাত্রার কারণেও পাঠক আসতে চায় না। তবে, বিকালের দিকে কিছু পাঠক আসেন। এবার অবশ্য অন্যান্য বারের তুলনায় তা অনেক কম। এমনকি শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির দিনের তুলনায় শনিবার মেলায় পাঠক ও ক্রেতা অনেকটাই হতাশ করেছে বিক্রেতাদের।

বিক্রেতারা জানিয়েছেন, মেলার পাঠক আসলেও তাদের খুব বেশি বই কিনতে দেখা যায়নি। কেউ কেউ বলছেন- শুরুর দিকে এরকম সবসময় হয়, তবে ছুটির দিনগুলোতে সমাগম বাড়ে। আজকে তেমন কিছু তাদের চোখে পড়েনি।

বাংলা একাডেমি জানায়, মেলায় আজ নতুন বই এসেছে ১০৪টি। বিকাল ৪টায় বইমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী : স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান।

অনুষ্ঠানে আবুল মোমেন লিখিত প্রবন্ধ পাঠ করেন বাংলা একাডেমির সহ-পরিচালক সাহেদ মন্তাজ। আলোচনায় অংশ নেন আবুল কাশেম এবং ফওজুল আজিম। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অধ্যাপক খুরশীদা বেগম।

আজ লেখক বলছি অনুষ্ঠানে নিজেদের বই নিয়ে আলোচনা করেন আবদুস সেলিম, শাহেদ কায়েস এবং আঁখি হক।