শ্রমিক হত্যার প্রতিবাদে ঢাকায় সমাবেশ

চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে পুলিশের গুলিতে পাঁচ শ্রমিক হত্যার প্রতিবাদে সমাবেশ করেছে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট। শনিবার (১৭ এপ্রিল) বিকাল সাড়ে চারটায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় রাজু ভাস্কর্যে এ প্রতিবাদ সমাবেশ করেন তারা।

সমাবেশে বক্তারা অবিলম্বে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।

সমাবেশ সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় সভাপতি আল কাদেরী জয় বলেন, ‘চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে পুলিশের গুলিতে পাঁচজন শ্রমিক নিহত হয়েছে। এই যে রক্ত, এই যে খুন, এর দায়ভার সরকারকে নিতে হবে। তাদের দাবি ছিলো তারা গত তিনমাস ধরে বেতন পাচ্ছিলো না। তাদের বেতনের দাবিতে তারা প্রশাসনের সঙ্গে মিটিংয়ে বসেছিলো। তাদের দাবি ছিলো, তাদের কর্মঘণ্টা দশ ঘণ্টার পরিবর্তে আট ঘণ্টা করতে হবে; যাতে তারা ইফতার ঠিক সময়ে করতে পারে। ওই সমাবেশ চলাকালীন প্রশাসন ও পুলিশ মিলে ন্যক্কারজনক হামলা চালিয়ে ৫ জনকে নিহত ও ৩০ জনকে আহত করেছে। আমরা সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টসহ সকল বাম প্রগতিশীল সংগঠন অবিলম্বে চট্টগ্রামের বাঁশখালীর শ্রমিক হত্যার চাই এবং অবিলম্বে ঘটনায় জড়িতদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতার করার দাবি জানাচ্ছি।’

সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন প্রিন্স বলেন, ‘আজ থেকে চার বছর আগে যখন এস আলম গ্রুপ জনগণের জায়গা দখল করে, সেখানকার মানুষের বাড়ি ঘর উচ্ছেদ করে চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে বিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্য জমি অধিগ্রহণ করেছিল। আমরা দেখেছি সেময়ও মানুষ প্রতিবাদ করেছে, সেসময়ও পুলিশ গুলি চালিয়েছে। আজ একদিকে লকডাউনের কথা বলা হচ্ছে, অন্যদিকে সাধারণ মানুষের জীবনধারণের যে দিকগুলো তা নিশ্চিত করা হচ্ছে না। শ্রমিকরা যখন তাদের বেতন-বোনাসের দাবিতে আন্দোলন করছে, ইফতারের কিছুক্ষণ আগে তারা ছুটির দাবিতে আন্দোলন করছে; তখন বিনা বিচারে পাখির মতো গুলি করা হলো। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। শ্রমিকদের দশ দফা দাবির সঙ্গে আমরা একাত্মতা ঘোষণা করছি। অবিলম্বে বাঁশখালী হত্যাকাণ্ডে যারা দায়ী তাদের বিচার দাবি করছি। অবিলম্বে ঘটনার সঙ্গে জড়িত পুলিশ সদস্যদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি এবং এস আলম গ্রুপের কয়লাবিদ্যুৎ প্রকল্পের নামে পরিবেশ বিধ্বংসী যে আয়োজন চলছে তা বন্ধ করার দাবি জানাচ্ছি।’

প্রসঙ্গত, শনিবার সকাল ১০টার দিকে চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলায় কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রে বেতন-ভাতার দাবিতে শ্রমিকদের বিক্ষোভে গুলির ঘটনায় পাঁচজন নিহত হয়।