ছাড়পত্র পেয়েও হাসপাতাল ছাড়ছেন না করোনামুক্ত মান্নান

বরিশালের মুলাদি উপজেলার চড় মালিয়া গ্রামের সেকান্দর ব্যাপারীর ছেলে মান্নান। গত সোমবার (২৬ তারিখ) ঢামেক হাসপাতাল করোনা ইউনিট থেকে তাকে ছুটি দিয়েছেন চিকিৎসারা। কিন্তু করোনামুক্ত হলেও হাসপাতাল ছাড়েননি রোগী ও তার স্বজনরা।

এদিকে মান্নানের স্ত্রী শিল্পী বেগম বলেন, মান্নানের দু বছর আগে একবার মানসিক সমস্যা হয়েছিল। তখন মানসিক হাসপাতালে ভর্তি থেকে সুস্থ হন। মাসখানেক আগে আবারও এ সমস্যা দেখা দেয়। পরে হাসপাতালে নেওয়া হয়।

মান্নানকে ছুটি দেওয়া হয়েছে, যাচ্ছেন না কেন, এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, গাড়ি নাই, লঞ্চ নাই কিভাবে যাই। বাড়িতে সংবাদ দিয়েছি, কেউ আসলে যাবো। এ ছাড়াও আমার কাছে এত টাকা নাই যে অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করে নিয়ে যাবো।

২৭ এপ্রিল সকালে ঢামেক হাসপাতালের নতুন ভবনের পাগলামি করছিল মান্নান। তখন তার স্বজনরা তাকে টানাটানি করে আবার হাসপাতালে ধরে নেওয়ার সময় নজরে পড়ে গণমাধ্যমের। পরে সরেজমিনে গিয়ে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, করোনা পজিটিভ হওয়ায় গত ২০ এপ্রিল থেকে ঢামেক হাসপাতালের ৯০১ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি ছিল মান্নান। চিকিৎসকরা বলছেন, তার মানসিক সমস্যা রয়েছে। এখন তিনি করোনামুক্ত কিন্তু অর্থাভাবে হাসপাতাল ছেড়ে যেতে পারছেন না। তার ওপর লঞ্চ বন্ধ।

সেখানে কর্তব্যরত নার্স রুহুল আমিন জানিয়েছেন, মান্নান মানসিকভাবে অসুস্থ। তিনি গত ১০ এপ্রিল থেকে জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনিস্টিউটে ভর্তি ছিলেন। সেখানে তার করোনা পজিটিভ হওয়ার পরে গত ২০ তারিখ থেকে এখানে তিনি ভর্তি ছিলেন। ২৬ তারিখ তাকে চিকিৎসকরা ছাড়পত্র দিয়েছেন। কিন্তু তারা এখনও যাননি।

ওই বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. জান্নাতুল নাঈম জানিয়েছেন, মানসিক ইন্সটিটিউটে করোনা রোগীর চিকিৎসা থাকার পরে তারা আমাদের এখানে পাঠিয়ে দিয়েছে। আমরা তাকে চিকিৎসা দিয়েছি। তার অবস্থার অনেক উন্নতি হয়েছে, তার শ্বাসকষ্ট নেই, তিনি দিব্যি ঘুরাফেরা করছেন। তাই তাকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।

ছবি: নাসিরুল ইসলাম