‘চাই প্রতিবন্ধী মানুষের ব্যবহার উপযোগী ওয়েবসাইট’

বিশেষ প্রযুক্তি ও পদ্ধতিতে বিভিন্ন সংস্থার ওয়েবসাইট প্রতিবন্ধী মানুষের ব্যবহার উপযোগী করার দাবি জানানো হয়েছে। মঙ্গলবার (৪ মে) ‘প্রতিবন্ধী মানুষের ওয়েবসাইটে প্রবেশগম্যতা বৃদ্ধি’ বিষয়ক একটি ওয়েবিনারে এ দাবি জানানো হয়।

ওয়েবিনারে অংশগ্রহণকারীরা বলেছেন, প্রতিবন্ধী মানুষ যেন সহজেই সেই পদ্ধতি প্রয়োগ করে কাজ চালাতে পারেন এবং তারা যেন ওয়েবের মাধ্যমে আরও বেশি করে যোগাযোগ ও মতবিনিময় করতে পারেন। ওয়েবে প্রবেশাধিকার মানে হলো— যে কোনও ব্যক্তি বিশেষ করে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী মানুষ যেন ওয়েব পেজটি দেখতে ও বুঝতে পারেন।

বেসরকারি সংস্থা ইপসা ও বিভিআইপিএস-এর সহযোগিতায় ‘মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন’ এই ওয়েবিনারের আয়োজন করে।

অনেকগুলো সংস্থার ওয়েবসাইট ভিজিট করে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী কনসালটেন্ট ভাস্কর ভট্টাচার্য ‘ওয়েব এক্সিসিবিলিটি রিপোর্ট বাই আইডেনটিফাইং গ্যাপস অ্যান্ড ব্যারিয়ারস উইথ রিকমেনডেশনস অ্যান্ড গাইডলান’ শীর্ষক একটি অডিট রিপোর্ট তৈরি করেছেন।

সরকার নানাভাবে উদ্যোগ গ্রহণ করেছে বলেই আজকে দেশের ৫৭টি মন্ত্রণালয়ের ৩৫৩টি উপজেলায় সক্রিয় ওয়েব পোর্টাল আছে। তবে এখনও এখানে প্রতিবন্ধী মানুষের জন্য প্রবেশগম্যতা সহজ না। ফলে এই জায়গায় কাজ করার সুযোগ রয়েছে বলে ভাস্কর ভট্টাচার্য মনে করেন। তিনি বলেন, ‘দেশের অধিকাংশ সংস্থার ওয়েব পোর্টাল এবং ওয়েব পেজ প্রতিবন্ধীবান্ধব নয়।’

অডিট প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে যে, সাধারণত কী কী ধরনের অসুবিধা ভোগ করেন প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা। যেমন-  কি বোর্ড চালানো, বাংলা পিডিএফ ফরমেট পাঠ, প্রতিবন্ধী পাঠ উপযোগী ক্যাপশন ছাড়া ছবি, সিকিউরিটি কোডে প্রবেশ, টাইমার বেইসড ওয়েবপেইজ, টেবিল ও চার্টগুলোতে তাদের পাঠ উপযোগী ব্যবস্থা না থাকার কারণে নানা সমস্যায় থাকেন এবং অধিকাংশই ওয়েব পেজের বিষয়ে তারা জানতে পারেন না।

জাতিসংঘের ‘কনভেনশন অন দ্য রাইটস অব পারসনস উইথ ডিসএবিলিটিস’ এর ৯ ও ২১- এ বলা হয়েছে যে, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, ইলেকট্রনিক সুবিধা ও জরুরি সেবা যেন সব প্রতিবন্ধী মানুষের জন্য সহজ করা হয়। দি ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব কনসোর্টিয়ামও এমনকিছু প্রযুক্তিগত গাইডলাইন উদ্ভাবন করেছে, যার মাধ্যমে সর্বজনীনভাবে প্রবেশাধিকার সম্মত ও গ্রহণযোগ্য ওয়েবসাইট তৈরি করা সম্ভব। ওয়েবিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি ডিভিশনের সিনিয়র সেক্রেটারি এন এম জিয়াউল আলম।