সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গাছ কেটে উন্নয়ন বন্ধ করার দাবি

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গাছ কেটে উন্নয়ন বন্ধ করার দাবি জানিয়েছে ‘পরিবেশ বীক্ষণ’ নামক একটি সংগঠন।বৃহস্পতিবার (৬ মে) রাজধানীর সেগুন বাগিচায় গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সামনে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গাছ কেটে পরিবেশ ধ্বংসের প্রতিবাদে এক বিক্ষোভ সমাবেশে এই দাবি জানায় সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

‘গাছ কেটে দালান বানাতে পারবেন, কিন্তু সেই দালান আপনার বেঁচে থাকার অক্সিজেন দেবে না’ বলে হুঁশিয়ারি দিয়ে ‘পরিবেশ বীক্ষণ’র অন্যতম সংগঠক প্রিজম ফকির বলেন, গাছ বাঁচলেই আমি-আপনি বাঁচব। গাছ অক্সিজেন দেবে, দালান না। উন্নয়ন মানে পরিবেশ ধ্বংস করে দালান, রেস্তোরাঁ নির্মাণ করা না। প্রকৃতি কাউকে ছেড়ে কথা বলে না, প্রকৃতি ধ্বংস করবেন না।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, সারাদেশে গাছের তথা বনাঞ্চলের পরিমাণ দিন দিন কমছে, যেখানে একটি ভূখণ্ডের ২৫ শতাংশ বনাঞ্চল থাকার কথা সেখানে তা কমে গিয়েছে। দ্য স্টেট অব গ্লোবাল ফরেস্ট-২০১৮ বলেছে, বাংলাদেশের মোট ভূখণ্ডের সাড়ে ১৩ শতাংশ বনভূমি। অপরদিকে মন্ত্রণালয়ের দাবি, দেশের মোট আয়তনের ১৭ শতাংশ বনভূমি। কারণে-অকারণে আজ বনভূমি উজাড় করা হচ্ছে। ঢাকা শহরে সেই বনভূমির পরিমাণ আরও কম। বসবাসের অযোগ্য শহরের মধ্যে ঢাকার অবস্থান দ্বিতীয়।

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গাছ কাটার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে সুমাইয়া সেতু বলেন, ঢাকা শহরে আজ মানুষ অক্সিজেনের অভাবে ভুগছে। অক্সিজেনের বদলে কার্বন ডাই-অক্সাইড অতিদ্রুত মাত্রায় বৃদ্ধি পাচ্ছে। এমতাবস্থায় হাতেগোনা কয়েকটি উদ্যান আছে, যার ওপর আজ পৈশাচিক থাবা পড়ছে। আমরা এই সকল থাবাকে মোকাবিলা করে পরিবেশ রক্ষা করব।

বেঁচে থাকার জন্য সুস্থ-সুন্দর পরিবেশ গড়ার অঙ্গীকার জ্ঞাপন করে সমাবেশ শেষ করা হয়।

সালমান রাহাতের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সুন্দরবন রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব ও বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) এর নির্বাহী সহ-সভাপতি ডা. আবদুল মতিন। আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক সুমাইয়া সেতু, পরিবেশ বীক্ষণ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সদস্য আসমানী আশা।