শেষ মুহূর্তের কেনাকাটায় ব্যস্ত নগরবাসী  

করোনাকালে বিধিনিষেধ সত্ত্বেও ঈদে শেষ মুহূর্তের কেনাকাটা নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন নগরবাসী। আর একদিন পরই ঈদ। এ কারণে মানুষের ভিড়ে মার্কেট ও শপিং মলগুলো জমজমাট। বিভিন্ন মার্কেট ও শপিং মল ঘুরে পছন্দের পোশাকসহ  প্রয়োজনীয় ঈদ সামগ্রী খুঁজে নিচ্ছেন তারা। পোশাক, কসমেটিকস, জুতাসহ অন্যান্য দোকান ও ফুটপাতজুড়ে কেনাবেচা চলছে সমান তালে।

বুধবার (১২ মে) সকালে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের সামনে গিয়ে দেখা গেছে, মধ্যবিত্তদের অনেকেই পরিবারের পুরুষ সদস্যদের জন্য ঈদের পাঞ্জাবি কিনতে এসেছেন। অন্যান্য মার্কেটের তুলনায় এই এলাকায় কম দামে পাঞ্জাবি পাওয়া যায়। এ কারণেই তাদের পছন্দের শীর্ষ রয়েছে   বায়তুল মোকাররম মার্কেট।

ছেলে ও বাবার জন্য পাঞ্জাবি কিনতে এসেছেন খিলগাঁও এলাকার বাসিন্দা নাসির উদ্দিন। তিনি বলেন, ‘প্রতিবছর এখান থেকে বাবা ও ছেলের জন্য পাঞ্জাবি কিনি। এখানে অপেক্ষাকৃত কম দামে মোটামুটি মানের পাঞ্জাবি পাওয়া যায়। তাই দুইশ’ টাকা করে দুইটি পাঞ্জাবি ও ১৫০ টাকা করে দুইটি পাজামা কিনেছি। ছেলের মায়ের জন্যও একটি বোরকা নিয়েছি।’

একইচিত্র দেখা গেছে, গাওসিয়া ও নিউমার্কেট এলাকায়। এই মার্কেট দুটিতে এতটাই ভিড় যে, মানুষের  চলাচল করাও কঠিন। সামাজিক দূরত্ব তো দূরের কথা, বহু মানুষের মুখে মাস্কও দেখা যায়নি। স্বাস্থ্যবিধি মানার নজরদারিও  নেই। গাদাগাদি করেই চলাচল করছে সবাই। মার্কেটের প্রতিটি দোকানেই মানুষের ভিড় দেখা গেছে। বিক্রেতারা বলছেন, শেষ মুহূর্তের কেনাকাটায় মানুষের যথেষ্ট আগ্রহ রয়েছে। বেচাবিক্রিও ভালো হচ্ছে।

গাউসিয়া মার্কেটের ভেতর ও বাইরে  মানুষের প্রচণ্ড ভিড়। ফুটপাতেও জমে উঠেছে কেনাকাটা। ফুটপাতে নিম্ন আয়ের মানুষের আনাগোনাই বেশি। জানতে চাইলে পোশাক বিক্রেতা সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘বিক্রি ভালো হচ্ছে। বিভিন্ন রঙের পোশাক থাকায় মানুষ নিজেদের পছন্দ মতো  কিনতে পারছেন। দামও আয়ত্তে রয়েছে।’

চরবাজারের পাঞ্জাবির দোকানগুলোর চিত্রও একই। উর্দু রোডের ‘শেখ সাদী পাঞ্জাবি অ্যান্ড বোরকা হাউজের’ মালিক আবু বকর সিদ্দিক বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘রমজানের প্রথম ১৫ দিনে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকার দোকানে পাইকারী হিসেবে বেশি বিক্রি হয়েছে। আমরা দামও কম রাখছি। এখন শেষ মুহূর্তে খুচরা বিক্রি বেশি হচ্ছে।’