‘৮০ ট্যাকায় রসমালাই ফেল’

‘নিয়া যান, খালি ৮০ ট্যাকা। একদাম। যেটাই নেন ৮০ ট্যাকা। টেস্টে রসমালাই ফেল’। এভাবে হাঁকডাক দিয়ে কাওরান বাজারে তরমুজ বিক্রি করেছেন বিক্রেতারা। কাছে যেতেই বললেন, ‘নিয়ে যান। একদাম ৮০ টাকা। লাল টকটকা আর মিষ্টি। রসমালাই খেয়েও এতো মজা পাইবেন না। মিষ্টি না হইলে ট্যাকা ফেরত।’

কেউ কেউ ক্রেতাকে তরমুজ কেটে দেখাচ্ছেন। অনেকে বসে আছেন ক্রেতা ছাড়া। রবিবার দুপুরে কাওরান বাজার ঘুরে এমন দৃশ্য দেখা যায়।

বাজার ঘুরে দেখা যায়, একটু পরপরই তরমুজের দোকান। কেউ ভ্যানগাড়িতে করে, কেউ বাজারের সামনে তরমুজ বিক্রি করছেন। বেশিরভাগ দোকানেই ক্রেতা নেই। কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বাজারে তরমুজের দাম এখন দুইশ-আড়াইশ টাকা। রমজানেও যে তরমুজ বিক্রি হয়েছিল ৫০০ টাকার বেশি দামে। তখন মাসজুড়ে তরমুজ ছিল আলোচনায়।

অতিরিক্ত লাভের আশায় প্রায় প্রত্যেকেই তরমুজ বিক্রি করেছিলেন কেজি দরে।

বাজার ঘুরে দেখা যায়, তরমুজ এখন পিস হিসেবেই বিক্রি হচ্ছে। ৫-৬ কেজি ওজনের খুলনার একটি তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১২০ টাকায়। ঈদের আগে যা ছিল ৩৫০ টাকার বেশি।

এছাড়া এখন বড় তরমুজ পাওয়া যাচ্ছে ১৫০ থেকে ১৮০ টাকার মধ্যে। ছোট তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৮০ টাকায়।

ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বৃষ্টির কারণে তরমুজের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। কয়েকদিন ধরে বৃষ্টি হওয়ায় চাষিরা বেশি তরমুজ তুলে বাজারে সরবরাহ করছেন। তাছাড়া বাজারে আম-লিচুর মতো মৌসুমি ফলও আসতে শুরু করেছে।

তরমুজ ব্যবসায়ী কাওসার জানান, বাজারে এখন খুলনা ও বরিশালের তরমুজ পাওয়া যাচ্ছে। খুলনার তরমুজ আকারে ছোট কিন্তু মিষ্টি বেশি। আর দাম বিবেচনায় মানুষ ছোটটাই কিনছে।

তিনি আরও বলেন, তরমুজের চাহিদা কমেছে। সরবরাহও বেড়েছে। এ কারণে অনেক তরমুজ পচেও যাচ্ছে।

তরমুজ কিনতে আসা আজগর আলী জানান, তরমুজের দামে আগুন এখন আর নেই। রোজার মধ্যে যারা অন্যায়ভাবে দাম বাড়িয়েছিল তারা এখন ভুক্তভোগী। একটা তরমুজ নিলাম ১০০ টাকা দিয়ে। রমজান মাস হলে অন্তত ৩০০ টাকা রাখতো।