আটটাতেই বন্ধ হচ্ছে দোকান, কর্মচারীরা খুশি

রাত আটটার পর দোকানপাট বন্ধ ঘোষণার দ্বিতীয় দিনেই রাজধানীর বেশিরভাগ এলাকায় সরকারি সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হতে দেখা গেছে।

রাজধানীর ধানমন্ডি, কাওরান বাজার, ফার্মগেট, বনানী এলাকা সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় ফার্মেসি, রেস্তোরাঁ ও ফুটপাতের টুকটাক দোকান ছাড়া বেশিরভাগ স্থাপনা বন্ধ।

কেউ একটু দেরিতে বন্ধ করলেও রাত সাড়ে ৯টার দিকে প্রায় সবই বন্ধ পাওয়া যায়। তবে ঢাকা দুই সিটি করপোরেশন কিংবা পুলিশের কোনও টহল দেখা যায়নি।

রাজধানীর বিভিন্ন রাস্তায় রাত ৯টায় দেখা যায় ঘরমুখী মানুষের ভিড়। তাদের বেশিরভাগই দোকানের মালিক ও কর্মচারী। এ সময় রাস্তায় গণপরিবহনের সংকট দেখা গেছে।

বিভিন্ন সড়কে যেমন ফার্মগেট মহাখালী, বনানী ও গুলশানের সড়কে যানজট দেখা গেছে।

সাড়ে আটটার দিকে ফার্মগেটে বাসের জন্য অপেক্ষা করছিলেন দোকান কর্মচারী রাজিব হোসেন। তিনি বলেন, ‘কোনও পুলিশের টিম আসেনি। আমরা নিজেরাই দোকান বন্ধ করেছি। সরকারি অর্ডার হওয়ায় ভালোই হয়েছে। মালিকরা জোর করতে পারছে না।’

সিটি করপোরেশনের কোনও পরিদর্শক দল দেখেননি বলেও তিনি জানান।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম রেজা বলেন, আমরা আগামীকাল (বুধবার) থেকে মোবাইল কোর্ট চালাবো। আজকে জোনে পাঠিয়েছি।

অপরদিকে, ডিএনসিসি কর্মকর্তা ফরিদ আহাম্মদ বলেন, দোকান বন্ধের সরকারি সিদ্ধান্তটি আইন প্রয়োগকারী সংস্থা বাস্তবায়ন করবে। আমরা মনিটরিং করবো। আমাদের কোনও অবজারভেশন থাকলে তাদেরকে জানাবো।