রাজধানীর গুলিস্তানে রাজপথ ও পথচারীদের চলাচলের জায়গা নির্বিঘ্ন রাখতে হকার উচ্ছেদে অভিযান চালাচ্ছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। তবে হকারদের বিভিন্ন মালপত্রসহ ফুটপাথে রাখা চৌকিগুলো তারা সরাতে পারেনি।
বঙ্গভবন থেকে সচিবালয় ও মেয়র হানিফ উড়ালসেতু থেকে গুলিস্তান পর্যন্ত সড়ককে রেড জোন ঘোষণা করে ডিএসসিসি। এই সড়ক হকারমুক্ত করতে রবিবার (১১ সেপ্টেম্বর) অভিযান চালানো হয়। এসময় সড়কের দুই পাশ থেকে কিছু মালপত্র নিয়ে সরে যান হকাররা। তবে ২৪ ঘণ্টা পার হওয়ার আগেই আবার তারা ফিরে আসেন আগের জায়গায়। মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বেলা ১২ টার পরে দ্বিতীয় দফায় গুলিস্তানে অভিযান চালায় ডিএসসিসি’র ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ অভিযানে নেতৃত্ব দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো মুনিরুজ্জামান।
অভিযানের সময় কিছু হকার সম্মিলিত হয়ে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। যা কয়েক মিনিট পরেই শেষ হয়।
অভিযানের পরে এ এলাকা ঘুরে দেখা যায়, হকাররা মালপত্র নিয়ে অন্য জায়গায় অবস্থান করলেও পথচারী চলাচলের জায়গায় রয়ে গেছে হকারদের ব্যবহৃত চৌকিগুলো যা হকাররা মালপত্র সাজিয়ে রাখতে ব্যবহার করেন। এছাড়া হকাররা রাতের বৈদ্যুতিক আলো পাওয়ার জন্য যে সংযোগ ব্যবহার করেন তা সারি সারি মাথার ওপর ঝুলতে দেখা যায়।
সরেজমিনে পরিদর্শনের সময় মুক্তাঙ্গন, বায়তুল মোকাররম মসজিদ এলাকা, বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম, গোলাপ শাহ মাজার এলাকায় একই চিত্র দেখা যায়। বিপদজনক বৈদ্যুতিক সংযোগগুলো বেশিরভাগ রয়ে গেছে মুক্তাঙ্গন ও বায়তুল মোকাররম এলাকা যা পথচারীদের চলাচলের জায়গায় মাথার ঝুলছে।
এ বিষয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সম্পত্তি কর্মকর্তা মো. মুনিরুজ্জামান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, আজ খুবই কম সংখ্যক হকার ছিল। আমরা তাদের উচ্ছেদ করেছি। আর আজ বৃষ্টির কারণে হকারদের পাতা চৌকিগুলো সরানো যায়নি।
বিপদজনক বৈদ্যুতিক সংযোগের বিষয়ে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, আমি প্রকৌশল বিভাগকে বলে দেবো যাতে এগুলো সরিয়ে ফেলা হয়।
ছবি: নাসিরুল ইসলাম ও রাশেদুল হাসান।
আরও পড়ুন-
কীভাবে হকারমুক্ত হবে গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো
রাজধানীতে লাল চিহ্নিত সড়কে হকার উচ্ছেদ অভিযান
‘রেড জোনে’ সহস্রাধিক হকার উচ্ছেদ, জরিমানা