সন্ধ্যার পর মোমবাতি বিক্রি বেড়েছে

আজ দুপুরে হঠাৎ জাতীয় গ্রিডে বিপর্যয়ের কারণে দেশের কয়েকটি বিভাগ বিদ্যুৎবিহীন। দিনের বেলা সমস্যা না হলেও সন্ধ্যার বেড়েছে মোমের বিক্রি। বিদ্যুৎ কখন আসবে এই অনিশ্চয়তায় অনেক ক্রেতায় একাধিক মোমও কিনছেন।  সন্ধ্যা হবার পরপরই দোকানে থাকা সমস্ত মোমবাতিই বিক্রি শেষ।

মিরপুরের কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখা যায় প্রত্যেক দোকানেই ক্রেতারা আসছেন মোমবাতির খোঁজে। অনেকে না পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন।

‘এভাবে মোমবাতির চাহিদা বাড়বে তা বুঝে উঠতে পারি নাই, তাই মোমবাতির স্টকও কম ছিল’ মন্তব্য করে মিরপুরের সবুজ বাংলা আবাসিক এলাকার দোকানি হারুন সরদার বলেন, ‘এমনিতে আগে দৈনিক এক ঘণ্টা করে বিদ্যুৎ যাইতো। সেই হিসেবে কয়েক প্যাকেট মোমবাতি রাখছিলাম। তখন একটা দুইটা মোম বিক্রি হইতো। এখন সন্ধ্যা হবার সঙ্গে সঙ্গে সবগুলো মোমের প্যাকেটই বিক্রি হয়ে গেছে।’

অনেক দোকানি আবার মোমবাতি বিক্রির চাহিদা দেখে স্থানীয় বাজারে পাইকারি মোমবাতি বিক্রেতার কাছে লোক পাঠাচ্ছে।  দোকানি আজমল জানান, ‘বিদ্যুৎ না থাকলেও চার্জার লাইট আছে প্রত্যেকের ঘরে। আজকে লম্বা সময় বিদ্যুৎ নাই দেখে চার্জ দিতে পারতেছে না তাই মোমের চাহিদা বাড়ছে।’

দোকানে মোম কিনতে আসা গৃহিণী রাবেয়া খাতুন বলেন, বিদ্যুৎ আসবে সেই রাতে কিন্তু এখন তো ঘরে আলো জ্বালানো লাগে। আগে জানা ছিল না এতক্ষণ ধরে বিদ্যুৎ থাকবে না। চার্জার লাইটে চার্জও দেওয়া হয় নাই। কিছুক্ষণ মোবাইলের আলোয় কাজ করছি। কিন্তু বিদ্যুৎ আসছে না দেখে মোমবাতি কিনতে আসছি।

আরেক ক্রেতা সাইফুল বলেন, চার্জার লাইটের চার্জ শেষ। তাই মোমবাতি কিনতে আসছি। তবে বিদ্যুতের এই সমস্যা ক্ষণস্থায়ী হবে বলে আশা প্রকাশ করেই এই ক্রেতা।

ছবি: সাজ্জাদ হোসেন