হাফেজি পাস করার ৩ দিন পর মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার

রাজধানীর কামরাঙ্গীচরে মো. শরিফুল ইসলাম (১৪) নামে এক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার (৬ জানুয়ারি) দিবাগত রাতে পূর্ব রসুলপুর এলকার একটি ফ্লাট থেকে ওই কিশোরের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। কামরাঙ্গীচর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রাধাবর্মন এ তথ্য জানান।

মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার দক্ষিণ পাকসা গ্রামের আমির হোসেনের ছেলে শরীফ। তিন ভাইয়ের মধ্যে সে ছিল ছোট। সে স্থানীয় নুরিয়া মাদ্রাসা থেকে শুক্রবার (৩ ফেব্রুয়ারি) হাফেজি পাস করে।  

তিনি বলেন, ‘পূর্ব রসুলপুরে নিজেদের বাসা থেকে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় ওই শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করা হয়। পরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে রাত পোনে ২টায় কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তাকে মৃত ঘোষণা করেন।’

পুলিশের ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করতে গিয়ে দেখা যায় ওই শিক্ষার্থী ইতোপূর্বে যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছে। পুলিশ প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে, সে যে নিপীড়নের শিকার হয়েছে সেই বিষয়টি কাউকে বলতে না পারায় আত্মহত্যা করেছে। এছাড়াও মৃত্যুর আর কোনও কারণ রয়েছে কিনা তা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর বলা যাবে।’

নিহতের বড় ভাই শাহীন হাসান বলেন, ‘শরিফুল হাফেজি পাস করার পর গত শুক্রবার পাগাড়ি পায়। পরে তিন দিনের ছুটিতে বাড়িতে আসে। তিন দিন শেষ হলে বাবা তাকে মাদ্রাসায় যেতে বলেন। কিন্তু সে বলে আজ যাবো না কাল সকালে যাবো। পরে রাতে সে রুমে গিয়ে দরজা বন্ধ করে রাখে। রাত ১১টার দিকে ডাকাডাকি করে তার কোনও সাড়াশব্দ পাওয়া যায় না। পরে দেখতে পাই সে ফ্যানের সঙ্গে ঝুঁলছে। পুলিশে খবর দিলে পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে। পরে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তাকে মৃত ঘোষণা করেন।’

তিনি বলেন, ‘আমরা শরিফুলের আত্মহত্যার কোনও কারণ জানতে পারিনি। ’