ফুটপাতই এখন ভরসা বঙ্গবাজারের ব্যবসায়ীদের

রাজধানীর বঙ্গবাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা ফুটপাতে দোকান বসিয়েছে। শনিবার (৮ এপ্রিল) সকাল থেকে এলাকার ফ্লাইওভারের নিচে যেসব কাপড় বাঁচাতে পেরেছিলেন সেগুলো নিয়েই বসেছেন অনেকে।

দোকানগুলো ঘিরে উৎসব জনতার ভিড় থাকলেও বিক্রি এখনও জমে উঠেনি। তবুও ফুটপাতই এখন ভরসা বঙ্গবাজারের ব্যবসায়ীদের।

এর আগে বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) সকালে বঙ্গবাজারের অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন শেষে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘কিছুটা হলেও ক্ষতি পুষিয়ে নিতে বঙ্গবাজার অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের ঈদের আগে অস্থায়ীভাবে ব্যবসা করার সুযোগ দেওয়া হবে। তিনি বলেন, ‘এই জায়গা পরিষ্কার করে দিলে ব্যবসায়ীরা অস্থায়ীভাবে বসেও যদি ঈদের আগে কিছুটা ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারেন, সেটিই ভালো। পুরোটা তো রিকভার করা যাবে না। কিছুটা যদি রিকভার করা যায়।’

শনিবার বঙ্গবাজারে অস্থায়ীভাবে দোকান বসানোর কথা থাকলেও বসেনি। ধ্বংসস্তূপ থেকে আবর্জনা সরাতে আরও সময় লাগবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

এদিকে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের আর্থিক সহযোগিতা দিতে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে। আজ বঙ্গবাজারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানানো হয়েছে। ওই অ্যাকাউন্টে সহায়তা পাঠাতে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

আরিফুর রহমান নামে এক ব্যবসায়ী বঙ্গবাজারের ফ্লাইওভারের নিচে বসেছেন লেডিস আইটেম নিয়ে। তিনি বলেন, ‘ইসলামিয়া মার্কেটের দ্বিতীয় তলায় আমার দোকান ছিল। এখন ঈদের বাজার। যদি বসে থাকি কেউ তো আর টাকা দিয়ে যাবে না। তাই যেটুকুই বিক্রি করতে পারি আশা নিয়ে বসছি।’

ফ্লাইওভারের নিচে দোকান নিয়ে বসেছেন বঙ্গ মার্কেটের ব্যবসায়ী রাহিম মিয়াও। তিনি বলেন, ‘আমার দুইটি দোকান ছিল কাঠের মার্কেটে। দুইটি দোকানই পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। যে মালামালগুলো সরাতে পেরেছিলাম এগুলো নিয়ে বসেছি। হাত একেবারে খালি। চলবো কী করে। যদি বিক্রি বাড়ে, মাল শেষ হলে আরও নিয়ে আসবো।’

কথা হয় ব্যবসায়ী শাহ আলমের সঙ্গেও। সব হারিতে নতুন করে গেঞ্জি, পায়জামা, ট্রাউজার নিয়ে বসেছেন ফুটপাতে। তিনি বলেন, ‘বঙ্গবাজারের আর্দশ মার্কেটে দুটি দোকান ছিল। দুটিই পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। কোনও মালামাল উদ্ধার করতে পারিনি। নতুন করে কিছু মাল কিনে আজকে দোকান নিয়ে বসেছি। এখনও জানাজানি হয়নি। সে কারণে বেচাবিক্রিও কম।’